‘শেকড়ের টানে’ আবুল হায়াত

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি একাধারে অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক, নাট্যকার।

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াত। তিনি একাধারে অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক, নাট্যকার। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী এ অভিনেতা আগের মতো খুব বেশি নাটকে অভিনয় করেন না। তার পরও ভালো গল্প পেলে কষ্ট করে হলেও অভিনয় করেন। ‘শেকড়ের টানে’ ঠিক তেমনি একটি ভালো লাগার গল্পের নাটক আবুল হায়াতের কাছে। যে কারণে এরই মধ্যে এ নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। নাটকটি রচনা করেছেন সুজিত বিশ্বাস। নির্মাণ করেছেন বাবু সিদ্দিকী। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘এ নাটকে আমি গল্পের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ আমি দাদুর চরিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পে দেখা যাবে আমি আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলাম গরিব একটি মেয়েকে বিয়ে করার জন্য। ২৫-২৬ বছর পর তার একটি ছেলে আমার কাছে এসে উপস্থিত হয় শেকড়ের টানে। এটাই মূল গল্প। এর আগে আমি বাবু সিদ্দিকীর নির্দেশনায় কাজ করিনি। তার কাজের ডিজাইন ভালো। আমার কাছে ভালো লেগেছে।’ নাটকটিতে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, আরজুমান্দ আরা বকুল, শাশ্বত দত্ত, মাফতোহা জান্নাত মিম। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে আজিজুল হাকিম বলেন, ‘বর্তমানে এ ধরনের গল্প নিয়ে নাটক নির্মাণ করা ভীষণ সাহসের। পরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি গল্প নির্বাচনে।’ আরজুমান্দ আরা বকুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগল। আমাদের মধ্যে গুণীজনরা এখনো আছেন, এটাই তো আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। একজন আবুল হায়াত আমাদের অভিনয় অঙ্গনের গর্ব, অহংকার। যদিও তিনি কিছুটা অসুস্থ। তার পরও গল্প ভালো লাগায় তিনি যে অভিনয় করেছেন, এটাও অনেক বড় বিষয়। অনেক দিন পর হায়াত ভাই, হাকিম ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করাটা উপভোগ্য ছিল। শতাব্দী ও জিম নতুন হিসেবে ওরাও বেশ ভালো করছে অভিনয়ে। ওদের জন্য শুভকামনা রইল। পরিচালকের জন্যও শুভকামনা। এমন ভালো গল্প নির্বাচনে তাকে বিশেষ ধন্যবাদ।’ শাশ্বত দত্ত বলেন, ‘কাজটা আমাদের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ আমাদের সবার শিডিউলজনিত সমস্যা এবং বাজেটেরও একটা বিষয় ছিল। যে কারণে কাজটি আমাদের একদিনে করতে হয়েছে। সকাল ৮টায় কল টাইম ছিল।’

আরও