বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে চলমান দেশগঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় শিল্পকলার অন্যতম শাখা চলচ্চিত্রকে একাডেমি থেকে বাদ না দিয়ে বরং স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করা হোক, আমরা সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।’
তারা বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্র বিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়টি স্বাধীনতার পর থেকেই রয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালের আইনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পাঁচটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এই পাঁচটি বিভাগ ছিল— চারুকলা বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ, সঙ্গীত ও নৃত্যকলা বিভাগ, চলচ্চিত্র (সিনেমাটোগ্রাফি) বিভাগ এবং গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ।’
পরে ১৯৮৯ সালের সংশোধিত আইনে চলচ্চিত্র বিভাগ বাদ দেয়া হয় এবং প্রতিক্রিয়ায় চলচ্চিত্র কর্মীদের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে চলচ্চিত্রকে নাট্যকলা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করে ‘নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভাগ’ গঠন করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ তাই ঐতিহ্য ও অধিকারের বিচারে আজও শিল্পকলা একাডেমি থেকে চলচ্চিত্রকে বিদায় করে দেয়ার সুযোগ নেই।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘একটা যুক্তি বরাবরই ছিল, চলচ্চিত্র দেখার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় আছে। তথ্য মন্ত্রণালয় দেখে চলচ্চিত্রের কারখানা (এফডিসি), সেন্সর ও সনদ, প্রশিক্ষণ (বিসিটিআই), সরকারি তথ্যচিত্র (ডিএফপি), চলচ্চিত্রের আর্কাইভ। কিন্তু এত কিছু থাকার পরও স্বাধীনতার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্র উপবিভাগ ছিল। কারণ শিল্পকলা বা আর্ট হিসেবে চলচ্চিত্রকে দেখার কোনো প্রতিষ্ঠান তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল না। সীমিত আকারে হলেও সারা দেশে একাডেমির সব শাখায় চলচ্চিত্র কার্যক্রম চালু হয়েছিল। এমনকি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা এরকমও প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলেন যে, একাডেমির সব শাখায় মিনি মাল্টিপ্লেক্স গড়ে তুলতে, তাতে প্রেক্ষাগৃহের সংকট কমবে।’
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন, নবনিযুক্ত সংস্কৃতি উপদেষ্টা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তাছাড়া সময়ের দাবি ও প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার সংস্কৃতি নীতিমালারও পরিমার্জনা করবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট নির্মাতা, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহক, সম্পাদক, শব্দগ্রাহক, সমালোচক, গবেষক, শিক্ষক, আলোকচিত্রী অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্রকর্মী, সংগঠকসহ ১৭৫ জন।