ঘরছাড়া হয়েছিলেন নীনা গুপ্তা

অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। বেড়ে উঠেছেন দিল্লিতে। আশির দশকে তিনি মুম্বাইয়ে যান।

অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। বেড়ে উঠেছেন দিল্লিতে। আশির দশকে তিনি মুম্বাইয়ে যান। সেখানে প্রথম অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন বাবা-মায়ের সহায়তায়। এরপর তিনি কখনো ভাড়া বাড়িতে থাকেননি। বরং একের পর এক ফ্ল্যাট কিনেছেন। একটা বিক্রি করে আরেকটায় উঠেছেন। এর পেছনে আছে এক দুঃখজনক ঘটনা। শুরুতে তিনি একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সেখান থেকে নীনাকে বের করে দেয়া হয়েছিল। রীতিমতো মাঝরাতে মেয়েকে কোলে নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিনা গুপ্তা জানালেন, তিনি একটি নতুন ফ্ল্যাট বুকিং দিয়েছেন। আগের ফ্ল্যাট বিক্রি করে নতুন ফ্ল্যাটের জন্য টাকাও জমা দিয়েছেন। এ সাক্ষাৎকারেই পুরনো ঘটনাটি প্রকাশ করেছেন নীনা। তিনি বলেন, ‘আমি এক সময় এক মাসির সঙ্গে থাকতাম। মাসাবা তখন ছোট। সারা দিন কাজ করে আমি ওই বাড়িতে কেবল ঘুমানোর জন্যই যেতাম।’

নীনা গুপ্তা তার আত্মজীবনীতেও বিষয়টি লিখেছেন। এ ‘মাসি’কে তিনি ভালোবাসতেন। ভদ্রমহিলা এক সময় মাসাবা ও নীনার দারুণ যত্ন নিতেন। কিন্তু এরপর তাদের সম্পর্কের ধাঁচ বদলে যায়। এক সময় নীনাকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেন মহিলা। নীনা বলেন, ‘একদিন তিনি আমাকে মাঝরাতে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। একটা বাচ্চা নিয়ে ওই রাতে কোথায় যাব, তা বুঝে পাচ্ছিলাম না।’ মজার বিষয় হলো ওই ভদ্রমহিলার স্বামীই নীনাকে জুহুতে একটি ফ্ল্যাট খুঁজে দেন।

বিষয়টি নীনা কোনোদিনও ভুলতে পারেননি। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুম্বাইয়ে যাওয়ার আগেই আমি তাদের বলেছিলাম, ওখানে একা থাকতে হবে এবং আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। অর্থাৎ আমি তাদের ওপর নির্ভরশীল। তারা আমাকে যেতে বললেন এবং সেখানেই ছিলাম। এরপর আঙ্কেল আমাকে তার শাশুড়ির বাড়িতে তুলে দেন। সে বাড়িতে ছিল মাকড়সার জাল। সেসব পরিষ্কার করে থাকতে শুরু করি। এরপর সেখান থেকেও বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই।’

এ সময় নতুন একটা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য একজন বিল্ডারকে টাকাও দিয়েছিলেন নীনা। কিন্তু বাড়ির কাজ তখনো শেষ হয়নি। নবজাতক নিয়ে তারও ছিল টানাটানি। তিনি সে বিল্ডারের কাছ থেকে অর্থ ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর আরামনগরে একটি বাড়ি কেনেন নীনা। সেখানে দীর্ঘদিন বাস করেছেন অভিনেত্রী।

সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আরও