গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন ডেমি মুর। দ্য সাবস্ট্যান্স সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। কিন্তু পুরস্কার আশা করেননি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি ঝটকা খেয়ে গেছি। বিশ্বাসই করতে পারছি না।’ কথা বলতে বলতে দম আটকে গিয়েছিল তার। এর পরই সামলে নিয়ে বলেন, ‘প্রায় ৪৫ বছর ধরে অভিনয় করছি কিন্তু এ প্রথম কোনো পুরস্কার পেলাম।’
বিষয়টা অবাক করার মতো। কেননা ডেমি মুর বহু বছর ধরে অভিনয় করছেন। তিনি প্রশংসিত অভিনেত্রী। এমনকি অনেকে বলে থাকেন, এ গ্রহের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ডেমি মুর। কিন্তু স্বীকৃতির ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রশংসা পেলেও অভিনয়ের জন্য পুরস্কার পাননি। অভিনয় নিয়ে আলোচনাও খুব বেশি হয়নি। আলোচনা ঘুরে গেছে তার গ্ল্যামার, শরীরী সৌন্দর্য, পোশাক নির্বাচন, আয়, বক্স অফিসের দিকে। এ সবকিছু নিয়ে ডেমির কখনো না কখনো আফসোসও হয়েছে। তিনি নিজেকে উল্লেখ করেছেন ‘পপকর্ন অ্যাকট্রেস’ হিসেবে।
ডেমি মুরকে গোল্ডেন গ্লোব সেরা অভিনেত্রী নির্বাচন করেছে ‘মোশন পিকচার মিউজিক্যাল অর কমেডি’ বিভাগে। দ্য সাবস্ট্যান্স কোনো না কোনোভাবে মুরের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনের সঙ্গেও যুক্ত। এ সিনেমার গল্প ৬২ বছর বয়সী এক অভিনেত্রীকে ঘিরে। তার নাম এলিজাবেথ স্পার্কেল। তার সিনেমা, অভিনয়, জীবন ও নানা টানাপড়েন নিয়ে এ সিনেমার গল্প।
তবে সিনেমাটি নিয়ে অনেকের ও ডেমি মুরেরও মত হলো এটিকে আত্মজৈবনিক বলার সুযোগ নেই। কিছুটা মিল হয়তো কেবল আছে।
তবে শরীর নিয়ে অভিনেত্রীদের নানা ভাবনা ও টানাপড়েনের কথা পাওয়া যায় সিনেমাটিতে। মূলত আশির ও নব্বইয়ের দশকের সিনেমা বা গ্ল্যামার দুনিয়ার বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। সে সময় ‘বডি পজিটিভিটি’ বলতে কিছু ছিল না। সিনেমায় তা নিয়েই আলোকপাতের চেষ্টা আছে।
ডেমি মুর বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং তার সিনেমাও প্রশংসিত। দ্য সাবস্ট্যান্স নিয়েও নানা কথা হচ্ছিল। কিন্তু কান উৎসব থেকেই দ্য সাবস্ট্যান্স নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে সবার মধ্যে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান