বলিউডে নেপোটিজম নিয়ে কথা হচ্ছে বহুদিন ধরে। তারকাদের সন্তানরা ভালো অভিনয় না করেও ভালো কাজ পেয়ে যান। অন্যদিকে যারা বাইরে থেকে আসেন, তারা সহজে কাজ পান না। বড় পরিচালক, বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পেতে তাদের সমস্যা হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী নুশরাত ভরুচা। তিনি নিজে যে পরিমাণ বা যে ধরনের সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছেন, তাতে খুশি হতে পারছেন না। সে সূত্রেই এক কথোপকথনে তিনি জানান, তারকা পরিবার থেকে এলে কাজ পাওয়া সহজ হয়।
নুশরাত ভরুচার অভিষেক হয়েছিল ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ সিনেমা দিয়ে। অভিনয় করেছেন ‘ছালাঙ’, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘আকেলি’, ‘ছত্রপতি’, ‘রাম সেতু’ ইত্যাদি সিনেমায়। নেটফ্লিক্সের ‘আজিব দাস্তান’ অ্যান্থোলজিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন শুভঙ্কর মিশ্রর পডকাস্টে। সেখানে প্রসঙ্গক্রমে নেপোটিজমের বিষয়টি আসে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারকাদের পরিবার থেকে আসা মানুষ স্বাভাবিকভাবেই বেশি সুযোগ পায়। কারণ তারা ইন্ডাস্ট্রির মানুষের চেনা, তারা পরস্পর নানাভাবে যুক্ত। তাদের বাবা-মায়েরা জানেন, সন্তানকে কোথায় পাঠাতে হবে। আমরা তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারব না।’
এ প্রসঙ্গে আলাপে সোনাক্ষী সিনহা ও শ্রদ্ধা কাপুরের নামও উঠে আসে। তবে নুশরাত জানান, তিনি এ দুজনকে ‘নেপো কিড’ বলতে ইচ্ছুক নন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি জানি প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা সংগ্রাম থাকে। তারা নিজেদের মতো কাজ করে যান। কিছু সুযোগ-সুবিধা হয়তো পান, কিন্তু তা নিয়ে দোষারোপ করার কিছু নেই।’
নুশরাত জানান, বড় পরিচালক বা প্রযোজকদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হলেও কারো কারো কাছে তিনি পৌঁছেছেন। তারা তাকে কাজেও নিয়েছেন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এক-এক করে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। লেগে থেকেছি। এক সময় পরিচালক কবির খান আমাকে রিপ্লাই করলেন। দেখা করতে বললেন। সেটা আমার জন্য বড় একটা ব্যাপার ছিল। এছাড়া লাভ রঞ্জন, হানসন মেহতা ও বিশাল ফুরিয়ার মতো নির্মাতাদের সঙ্গেও কাজ করেছি। তারা বেশ আন্তরিক। একটা সময় আমরা আসলে পরিবারের মতোই হয়ে গেছি।’
বিশাল ফুরিয়ার পরিচালনায় ২০২১ সালে নুশরাত অভিনয় করেছিলেন ‘চোরি’ সিনেমায়। এখন সিকুয়াল ‘চোরি টু’ মুক্তি পেয়েছে কিছুদিন আগে। অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন সৌরভ গোয়েল, সোহা আলী খান, কুলদীপ সারিন প্রমুখ।
সূত্র: দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস