এসপ্তাহে মুক্তি পেল সিনার্স। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রায়ান কুগলার। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইকেল জর্ডান। তিন বছর পর সিনেমা নিয়ে ফিরলেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরএভার’। ‘ক্রিড’ দিয়ে আলোচনায় আসা কুগলার এরপর তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ২০১৮ সালের ব্ল্যাক প্যান্থার দিয়ে। মার্ভেলে তার সময়টা ভালো কেটেছে। এবার ভ্যাম্পায়ার থ্রিলার নিয়ে এলেন কুগলার। বক্স অফিসে সিনেমাটিকে লড়তে হলো ‘আ মাইনক্র্যাফট মুভি’র সঙ্গে। এর মধ্যেও সিনেমাটি মুক্তির পর ওপেনিংয়ে ভালো আয় করেছে।
সিনার্স মুক্তি পেয়েছে ১৮ এপ্রিল। ৩ হাজার ৩০৮টি ভেনুতে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি। প্রথম দিনে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার আয় করে নিয়েছে সিনার্স। এ ধরনের সিনেমার হিসাবে আয়ের পরিমাণ ভালোই বলতে হয়। কেননা আ মাইনক্র্যাফট মুভি চলছে ৪ হাজার ৩০২টি স্ক্রিনে। এ সিনেমা ওপেনিংয়ের আয় করেছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ধারণা করা হচ্ছে সিনার্স ৪ কোটি ডলার আয় করে ফেলবে।
সিনার্সের আরো বেশি আয় করার সম্ভাবনা আছে। কেননা সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে আইম্যাক্সে। ৭০ মিলিমিটার আইম্যাক্সে মুক্তি পাওয়ার কারণে সেই সব শোয় সিনেমার টিকিটের দাম বেশি। এ ধারার টিকিটকে লাক্সারি টিকিট বলা হয়। সেখান থেকে সিনার্সের আয় বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এর আগে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ও আইম্যাক্স শো থেকে ভালো আয় করেছিল।
এদিকে সিনেমাটি নিয়ে প্রচার-প্রচারণায়ও কোনো খামতি রাখা হয়নি। আসলে রাখার উপায়ও নেই। কেননা ওয়ার্নার ব্রোস প্রযোজিত সিনেমাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৯ কোটি ডলার। সিনেমাটির স্বত্ব এখন ওয়ার্নার ব্রোসেরই হাতে। কুগলারের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে, ২৫ বছর পর তিনি সিনেমার স্বত্ব আবার ফেরত পাবেন। তবে তাতে খুব বেশি ক্ষতি হচ্ছে না। সিনার্স প্রায় সব জায়গায়ই ভালো সাড়া পাচ্ছে। সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে প্রচার করার কারণে দর্শক এটি দেখতে যাচ্ছে।
তবে বক্স অফিসে বেশ ভালো টক্কর চলছে সিনার্স ও আ মাইনক্র্যাফট মুভির। গত শুক্রবারও মাইনক্র্যাফট আয় করেছে দেড় কোটি ডলারের মতো। আগের সপ্তাহের তুলনায় মাত্র ২২ শতাংশ আয় কমেছে। সেখান থেকে বলা যায়, সিনার্সকে দর্শক ধরে রাখতে হবে আরো অন্তত দুই সপ্তাহ।
সূত্র: দ্য হলিউড রিপোর্টার