পর্দা উঠল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের

চলচ্চিত্র নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরের পর্দা উঠেছে।

চলচ্চিত্র নিয়ে দেশের বৃহত্তম আয়োজন ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরের পর্দা উঠেছে। বাংলাদেশসহ ৭৫টি দেশের ২২০টি সিনেমা নিয়ে শুরু হলো এবারের আয়োজন।

গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ওয়েন এবং চীনের চলচ্চিত্র প্রশাসনের আন্তর্জাতিক বিভাগের পরিচালক ঝু ইয়াং। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জালাল আহমেদ।

জলের গানের মাধ্যমে চলচ্চিত্র উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের তারকা শিল্পী ও নির্মাতাদের পাশাপাশি অংশ নেয় নানা দেশের সিনেমার মানুষ। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে আরো বেশি উন্নত করতে আমরা সরকারের জায়গা থেকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব। আমরা আশা করি, ঢাকাকে একটি বহু ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করতে পারব। সাংস্কৃতিক চর্চার লীলাক্ষেত্র হবে ঢাকা। এবার চলচ্চিত্র উৎসবে এটা আগামী দিনের প্রত্যাশা।’

চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি জালাল আহমেদ উৎসবের উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সিনেমা উপস্থাপনা ও বাংলাদেশী দর্শকের সামনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিনেমা উপস্থাপনা একটি বড় সুযোগ তাদের জন্য, যারা সিনেমার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটুকু পালন করে যাচ্ছে।’

সবাইকে চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে জালাল আহমেদ তার বক্তব্য শেষ করেন। বক্তব্য পর্ব শেষে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে দেখানো হয় নির্মাতা চিউ ঝ্যাংয়ের চীনা সিনেমা ‘মুন ম্যান’। এবারের উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানোরামা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেনস ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৫টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১২৩টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র থাকছে ৭১টি।

রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ১৯ জানুয়ারি উৎসবের পর্দা নামবে। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর স্থানগুলো হচ্ছে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী বিনামূল্যে উপভোগ করা যাবে।

আরও