বার্সেলোনার বিরুদ্ধে কোপা দেল রে ফাইনালের আগে প্রি-ম্যাচ কার্যক্রম বর্জন করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটির জন্য নির্ধারিত রেফারি রিকার্দো দে বুরহোস বেনগোচেয়ার এক আবেগঘন সংবাদ সম্মেলনের পর রিয়াল মাদ্রিদ এ ঘোষণা দেয়। সংবাদ সম্মেলনে রেফারি রিয়াল মাদ্রিদের ইন-হাউস টেলিভিশনে প্রকাশিত সমালোচনার জবাব দেন।
রিয়াল জানায়, রেফারি ও ভিএআর কর্মকর্তার পক্ষ থেকে আসা অভিযোগ ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং স্পষ্টভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। এ ঘটনার জেরে সংবাদ সম্মেলন, মিডিয়ার সামনে উন্মুক্ত অনুশীলন, ক্লাব প্রেসিডেন্টদের ঐতিহ্যবাহী নৈশভোজ ও ম্যাচ-পূর্ব ফটোসেশন বর্জন করে ক্লাবটি।
রিয়াল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই বিবৃতিগুলো পরিকল্পিতভাবে ফাইনালের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে দেয়া হয়েছে এবং এটি রেফারিদের পক্ষ থেকে রিয়ালের প্রতি সুস্পষ্ট শত্রুতা ও বিদ্বেষ প্রকাশ করে।‘
রয়টার্সকে দেয়া এক সূত্র জানায়, রিয়াল মাদ্রিদ এই সংবাদ সম্মেলনকে ‘একটি স্পষ্ট স্বার্থসংঘর্ষ’ হিসেবে দেখছে। তারা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) রেফারি পরিবর্তনের দাবি না জানালেও রেফারিং টিম পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে।
ঘটনার কেন্দ্রে থাকা দে বুরহোস বৃহস্পতিবার আরএমটিভি প্রকাশিত এক ভিডিও নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভিডিওটিতে তার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যখন কোনো শিশু স্কুলে গিয়ে শোনে তার বাবা চোর, তখন তা অসহ্য লাগে।‘ তিনি আরো বলেন, ‘এই পেশায় আমাদের সততার সঙ্গে কাজ করতে হয়, অথচ আমাদের পরিবার পর্যন্ত এই চাপের মধ্যে পড়ে।‘
বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা তো শুধু খেলা, শুধু ফুটবল। খেলোয়াড়দের মতো ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিকেই আমাদের সুরক্ষা দিতে হবে। আজকের ঘটনা দুঃখজনক। মাঠে আবেগ থাকতেই পারে, কিন্তু ম্যাচের পর এসব থেমে যাওয়া উচিত। কিছু একটা করা দরকার।‘
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন এর আগে রেফারিদের ওপর চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে হোসে মুনুয়েরা মন্টেরো যখন জুড বেলিংহ্যামকে লাল কার্ড দেখান, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া আসে।
এদিকে কোচ ফ্লিক তার তরুণ দলকে ফাইনালটা উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মৌসুমে এখন পর্যন্ত স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতা বার্সেলোনা এবার কোপা দেল রে জিতে সম্ভাব্য চারটি ট্রফির লক্ষ্য পূরণে এগোচ্ছে। বার্সার তরুণ লামিন ইয়ামাল মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দলের আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন গাভি, পেদ্রি, পাও কুবার্সির মতো উদীয়মান তারকারা।
অন্যদিকে, লস ব্লাঙ্কোসরা এ মৌসুমে কিছুটা ছন্দ হারিয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে তারা। সে সঙ্গে, লা লিগা পয়েন্ট টেবিলে বার্সার চেয়ে পিছিয়ে আছে চার পয়েন্টে।