লা লিগায় মঙ্গলবার রাতে মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচে ৪০টি শট নেয়ার পরও মাত্র একটি গোল করতে পারল বার্সেলোনা। তবে কোচ হান্সি ফ্লিক এতে মোটেও চিন্তিত নন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এক গোলে জেতা, আর ক্লিন শিট– আমি সন্তুষ্ট।‘
ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দানি ওলমোর গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় বার্সা। এই ম্যাচে গোলমুখে মোট ৪০টি শট নেয় ব্লগ্রানারা। ২০০৩ সাল থেকে লা লিগায় সর্বোচ্চ শট নেয়ার রেকর্ডে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে বার্সা। ২০১১ সালে রিয়াল জারাগোজার বিপক্ষে ৪০ শট নিয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হান্সি ফ্লিক বলেন, ‘৪০টি শটের সব হয়তো অন টার্গেট ছিল না, কিন্তু খেলোয়াড়রা দারুণ খেলেছে। অনেক সুযোগ তৈরি করেছি, যদিও প্রচুর মিস করেছি। তবে ক্লিন শিট, এক গোলে জয়, আর এত পরিবর্তনের পর এই পারফরম্যান্স—আমি খুব খুশি।‘
প্রথমার্ধেই বার্সা নেয় ২৪টি শট, কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। ওলমোকে দুর্দান্তভাবে গোলবঞ্চিত করেন মায়োর্কার গোলরক্ষক লিও রোমান। গাভির শট পোস্টে প্রতিহত হয়। আর রোনাল্ড আরাউহো গোলের সামনে থেকেও নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই ওলমো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। চলতি মৌসুমে রবার্ট লেভানদোভস্কি, রাফিনিয়া, লামিন ইয়ামাল ও ফেরান তোরেসের পর বার্সার হয়ে ১০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা পঞ্চম খেলোয়াড় এখন ওলমো।
সপ্তাহের শেষে কোপা দেল রে ফাইনাল সামনে রেখে ফ্লিক দলে কিছু রদবদল করেন। বেঞ্চে রাখা হয় পাও কুবারসি, ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং ও রাফিনিয়াকে। দীর্ঘ ৮৬ ম্যাচ পর জুল কুন্দেকে বিশ্রামে রাখা হয়।
মাঠে নামানো হয় আনসু ফাতিকে। অক্টোবরের পর প্রথমবার মূল একাদশে শুরু করলেন তিনি এবং ৬২ মিনিটে খেলে ৪টি শট নেন। পরে তাকে বদলি করে নামানো হয় রাফিনিয়াকে।
লা লিগায় এই জয়ে বার্সেলোনা এখন দ্বিতীয়স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে। বুধবার গেটাফের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল। এরপর শনিবার ‘এল ক্লাসিকো’ কোপা দেল রে ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।