প্রথম ওয়ানডে

শারজায় বাংলাদেশ ১২০/২ থেকে ১৪৩/১০!

প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৩৬ রানের টার্গেটে তাড়া করতে নেমে একটি পর্যায়ে ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘূর্ণিতে বেসামাল টাইগাররা অলআউট ১৪৩ রানে! শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারল ৯২ রানে।

আফগান স্পিন বিষেই নীল হলো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ বছর বয়সী অফস্পিনার আল্লাহ মোহাম্মাদ গাজানফার ২৬ রানে ৬টি, রশিদ খান ২৮ রানে ২টি ও মোহাম্মদ নবি ২৩ রানে ১টি উইকেট নেন। বাকি ১টি উইকেট নেন পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

শারজায় ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনো ফরম্যাটেই প্রথমবারের মতো জয় পাওয়া হলো না বাংলাদেশের। আজ বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২৩৬ রানের টার্গেটে তাড়া করতে নেমে একটি পর্যায়ে ২ উইকেটে ১২০ রান তুলে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। এরপর ঘূর্ণিতে বেসামাল টাইগাররা অলআউট ১৪৩ রানে! শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারল ৯২ রানে।

বাংলাদেশের পেসাররা সফলতা পেলেও আফগানরা পেল স্পিনে। আফগান স্পিন বিষেই নীল হলো বাংলাদেশ! ১৮ বছর বয়সী অফস্পিনার আল্লাহ মোহাম্মাদ গজনফরই ছিলেন সবচেয়ে ভয়ংকর। তিনি ২৬ রানে ৬টি উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের সব আশা শেষ করে দেন। এছাড়া, রশিদ খান ২৮ রানে ২টি ও মোহাম্মদ নবি ২৩ রানে ১টি উইকেট নেন। বাকি ১টি উইকেট নেন পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই।

এর আগে দারুণ বোলিং সাফল্যে আফগানিস্তানকে ২৩৫ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে টাইগাররা ২৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৭ রান তুলে নিলেও এরপর আকস্মিক এক ‘ঘূর্ণিঝড়ে’ সব এলেমেলো।

আফগানদের বেলা ঘটেছে উল্টোটা। মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। এরপরও এত রান তারা করতে পেরেছে মোহাম্মদ নবি ও হাশমতুল্লাহ শহিদির দৃঢ়তায়। নবি ৭৯ বলে ৮৪ ও শহিদি ৯২ বলে ৫২ রান করেন। ১২২ বল খেলে বোর্ডে ১০৪ রান যোগ করেন দুজন। তাতেই গড়ে জয়ের ভিত। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান উভয়ই ৪টি করে উইকেট নিলেও দলের হারে বিফলেই যায় তাদের দুর্দান্ত প্রচেষ্টা।

আফগানদের ‘দূর্গ’ খ্যাত শারজায় জেতা হলো বাংলাদেশের। সম্প্রতি তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারায়। সেই দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখে প্রথম ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশকে।

শনিবার একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে।

আরও