ক্রিকেটে অনন্য এক উত্তরাধিকার সৃষ্টি করে চলেছে কারান পরিবার। কারান পরিবারটি জিম্বাবুয়ের, নাকি ইংল্যান্ডের—সেই প্রশ্নের উত্তর অমীমাংসিত। ইংল্যান্ড থেকে আগত পরিবারটি কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে আসছে আফ্রিকান দেশ জিম্বাবুয়েতে। ১৯২৮ সালে জিম্বাবুয়ের (সাবেক রোডেশিয়া) কাদোমায় জন্মগ্রহণ করা কেভিন প্যাটিক কারান রোডেশিয়ার হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ৭টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার ছেলে কেভিন ম্যালকম কারানও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্রিকেটে নাম লেখান। তিনি জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। পাশাপাশি ৩২৪টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৬০৪টি। লিস্ট-এ ক্রিকেটে তার উইকেটে ৩৬৪টি।
২০১২ সালে মাত্র ৫৩ বছর বয়সী কেভিন কারান মারা যান। কিন্তু রেখে যান উত্তরাধিকার। তার তিন পুত্র সন্তানই ক্রিকেটার হয়েছেন। তাদের দুজন খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে, একজন বেছে নেন জিম্বাবুয়েকে। টম ও স্যাম কারানকে চেনে ক্রিকেট বিশ্ব—দুজনই ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝো বেন কারান জিম্বাবুয়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলেন। আজ রোববার সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
২৮ বছর বয়সী বেন কারানের জন্ম ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে। যদিও তিনি জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে টেস্ট অভিষেক এ টপ অর্ডার ব্যাটারের, এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে অভিষেক। ওয়ানডেতে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন এরই মধ্যে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হারারেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিনি। টেস্ট খেলেছেন তিনটি, সর্বোচ্চ স্কোর ৬৮। সব মিলে, এটা তার চতুর্থ টেস্ট; ওয়ানডে খেলেন ৬টি। ৫৪টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে ৭টি সেঞ্চুরি ও ১৪টি ফিফটিতে করেছেন ৩ হাজার ২৬০ রান।
তিন ভাইয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠ টমাস কেভিন কারান (টম কারান) একজন অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২টি টেস্ট, ২৮টি ওয়ানডে ও ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। এর বাইরে তিনি বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ান। বিপিএলে খেলেছেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। এছাড়া আইপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগসহ নানা লিগে তিনি খেলেন।
২৬ বছর বয়সী স্যাম ম্যাথিউ কারান (স্যাম কারান) তিন ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার কৃতিত্ব দেখান স্যাম কারান। এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে ২৪টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে ও ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।