আজ দুপুরে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। এই দলে জায়গা হয়নি লিটন দাসের। দল ঘোষণার ঠিক ৬ ঘন্টা পর সিলেটে বিপিএল ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটাল। এই ম্যাচে মাত্র ৪৪ বলে সেঞ্চুরি করেন লিটন। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেন তানজিদ হাসান তামিমও। দুজনের রেকর্ড ২৪১ রানের পার্টনারশিপে ঢাকা ১ উইকেটে ২৫৪ রানের রেকর্ড সংগ্রহ গড়েছে।
লিটন ৫৫ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন, তানজিদ ৬৪ বলে ১০৮ রান করে আউট হয়েছেন। লিটন চলতি বিপিএলের চতুর্থ ও বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে এটা লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৮৩, আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮২। তার পরপর সেঞ্চুরি করেন তানজিদ। তারও এটা প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়ে ঢাকা। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম ভাইসিংকের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। ওই ম্যাচেও হয়েছিল জোড়া সেঞ্চুরি। অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো দুজনই করেছিলেন সেঞ্চুরি। আজ দ্বিতীয়বারের মতো একই দলের দুজনের সেঞ্চুরি দেখল বিপিএল। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একই দলের দুজনের সেঞ্চুরির মোট আটটি কীর্তি আছে। গত বছর নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের তিলক ভার্মা ও সাঞ্জু স্যামসন।
লিটন ও তামিম পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৯ ও ৫২ বলে দলকে ১০০ রান এনে দেন। এরপর দুজন মিলে ১২.৩ ওভারে দলকে দেড়শ পার করান। ঝড় কিছুতেই থামাতে পারছিল না রাজশাহীর বোলররা। ১৬তম ওভারে শফিউল ইসলামকে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। তানজিদ সেঞ্চুরি করেন ৬২ বলে।
জিততে মরিয়া ঢাকা ক্যাপিটাল। চলতি আসরে টানা ছয় ম্যাচে হেরেছে দলটি। এছাড়া গত আসরে তারা হেরেছে টানা ১১ ম্যাচ।
আজ দুপুরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে খুলনা ৯ উইকেটে ১৭৪ রান তুলতে সমর্থ হয়। ৪৬ বলে ৭৫ রান করে ম্যাচসেরা সিলেটের জাকির হাসান। পাঁচ ম্যাচে এটা সিলেটের দ্বিতীয় জয়।