চট্টগ্রাম টেস্টে সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ। একটি পর্যায়ে ১ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। এরপর আশ্চর্য পতন। পরের ৮৫ রানের মধ্যে নেই ৬ উইকেট! স্কোরটা পাহাড়সম করার সুযোগ এলেও তা হেলায় হারায় স্বাগতিকরা। দিন শেষে স্কোরটা রূপ নিল ২৯১/৭-এ। সাদমানের ১২০ রানের পরও ৩ উইকেট হাতে নিয়ে দলের লিড মাত্র ৬৪ রানের। শেষ ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে টিকে থাকল জিম্বাবুয়ে।
সাদমানের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিন প্রথম দুই সেশন চালকের আসনে ছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনে বদলে যায় চিত্রটা। লড়াইয়ের ব্যাটনটা চলে যায় অতিথিদের হাতে। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ ও তাইজুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে গতকাল সকালে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান না তুলেই অলআউট। এরপর বিনা উইকেটে ১০৫ রান করে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। ফেরার পরই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এনামুল (৩৯)। সাদমান অবশ্য রাজসিক ব্যাটিং করে দলকে টানতে থাকেন। রিচার্ড এনগারাভাকে বাউন্ডারি মেরে ১৪২ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। তার আগের একমাত্র সেঞ্চুরিটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০২১ সালে হারারেতে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
চা বিরতির অল্প আগে পরপর দুই বলে সাদমান ও মুমিনুল হকের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ৫৪তম ওভারের শেষ বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ডিপ মিডউইকেটে বেন কারানকে ক্যাচ দেন মুমিনুল (৩৩)। তার বিদায়ে ৭৬ রানের জুটি ভেঙে যায়। পরের ওভারের প্রথম বলে সাদমানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ব্রায়ান বেনেট। সাদমান ১৮০ বলে ক্যারিয়ারসেরা ১২১ রান করে আউট হয়েছেন।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে লিড নেয় বাংলাদেশ। দলের ২৫৯ রানের সময় শান্তকে (২৩) আউট করে জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। এরপর ২০ রান তুলতে না তুলতে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিক (৪০), জাকের আলী (৫) ও নাঈম হাসান (৩)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২২৭ (উইলিয়ামস ৬৭, ওয়েলচ ৫৪; তাইজুল ৬/৬০)। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৯১/৭ (সাদমান ১২০, মুশফিক ৪০, এনামুল ৩৯; মাসেকেসা ৩/৪৪)।
—দ্বিতীয় দিন শেষে।