বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গত বুধবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অতিথি দল মালদ্বীপের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের ফিনিশিংয়ের অভাব প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। এই সুযোগটা নিয়ে প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ হারিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে মরিয়া বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা ৬টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার রিকভারির পর শুক্রবার অনুশীলন করেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। এদিন সংবাদমাধ্যমকে কাবরেরা বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের পরই আমি বলেছিলাম, ভালো ও ইতিবাচক খেলার পর এমন ফল পাওয়াটা কষ্টদায়ক ছিল। আসলে জয়ের উচ্চাশা ছিল সবার, যেটা আমরা অর্জন করতে পারিনি। এটা মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শারীরিক ও মানসিকভাবে ছেলেদের রিকভারি হয়েছে। আজ (শুক্রবার) ট্রেনিং সেশন নিয়ে আমরা ইতিবাচক। ছেলেরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সতেজ হয়ে উঠেছে। প্রত্যাশা উঁচুতে, ভরপুর প্রাণশক্তি সবার মধ্যে। আগামীকালের (আজ) ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি, আশা করি আমরা এবার জিতব।’
গোল পাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের দিকে তাকালে দেখবেন তাদের অর্ধে আমাদের খেলোয়াড়দের উপস্থিতি ভালো ছিল, সুযোগও এসেছিল, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। কেন আমরা গোল করতে পারিনি, সে ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচেও আমরা প্রতিপক্ষের বক্সে আগের ম্যাচের মতোই বেশি সংখ্যায় থাকার চেষ্টা করব এবং আমরা বিশ্বাস করি, এবার অন্তত একটা গোল করতে পারব।’
১৯ বারের মুখোমুখিতে বাংলাদেশ ৮টিতে ও মালদ্বীপ ৭টিতে জিতেছে এবং ড্র হয়েছে ৪টি ম্যাচ। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালের সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন গেমসের টানা তিন ম্যাচে ৫-০, ৫-০ ও ৮-০ গোলে হারানোর কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশ। এর ১০ বছর পর যখন চতুর্থবারের মতো দেখা সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে গোলশূন্য রুখে দেয় মালদ্বীপ। এরপর ক্রমেই বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনতে সমর্থ হয় দ্বীপদেশটি।