আইপ্যাড আপগ্রেড নির্ভর করে যেসব বিষয়ের ওপর

টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রডাক্ট ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আইপ্যাড। মোটামুটি সব ধরনের কাজ করা যায় গ্যাজেটটিতে।

টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রডাক্ট ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আইপ্যাড। মোটামুটি সব ধরনের কাজ করা যায় গ্যাজেটটিতে। ল্যাপটপের তুলনায় স্লিম ডিজাইন ও ওজনে হালকা হওয়ায় যেকোনো পরিস্থিতিতে আইপ্যাডে কাজ করতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার কারণে ট্যাবলেট কম্পিউটারের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নেয় এটি। তবে ঠিক কতদিন পর গ্যাজেটটি আপগ্রেড করতে হয়, সে সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। কারণ নির্দিষ্ট সময় পর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার হালনাগাদজনিত বিষয়ের কারণে অনেক কিছু সমর্থন নাও করতে পারে। মেকইউজঅবের প্রতিবেদনে ঠিক কখন আইপ্যাড পরিবর্তনের সময় সে সম্পর্কে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আইপ্যাডওএস সংস্করণ সমর্থন

আইপ্যাডওএসসহ সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদের মাধ্যমে নিরাপত্তাসহ নানা ফিচার যোগ করা হয়। এক্ষেত্রে আইপ্যাড পুরনো হয়ে গেলে সর্বশেষ সংস্করণ সমর্থন করবে না। তখন নিরাপত্তা হালনাগাদ ও অনেক ফিচার গ্যাজেটটিতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এতে অনেক কাজে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা যেমন আছে, একইভাবে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বেড়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ষষ্ঠ প্রজন্মের আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা আইপ্যাডওএস ১৭ পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সর্বশেষ আইপ্যাডওএস ১৮ ব্যবহার করতে পারবেন না। এ পরিস্থিতিতে নতুন আইপ্যাড কেনা যেতে পারে।

একাধিক অ্যাপের ব্যবহার

অ্যাপল আইপ্যাডকে ল্যাপটপের বিকল্প গ্যাজেট হিসেবেই বিবেচনা করে থাকে। এ কারণে আইপ্যাডে মাল্টিটাস্কিং খুব জরুরি। পুরনো আইপ্যাডগুলোয় এক-তিন জিবি (গিগাবাইট) র‍্যাম ছিল, যা সাধারণ কাজের জন্য উপযোগী। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো অ্যাপ ব্যবহার করলে কর্মদক্ষতা কমে যেতে পারে। কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন আইপ্যাড কিনতে হবে কিনা, তা বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।

ক্রমাগত স্টোরেজ ফুরানো

ক্রমাগত স্টোরেজ শেষ হতে থাকলে নতুন আইপ্যাড কেনা জরুরি হতে পারে। সরাসরি স্টোরেজ যোগ করার উপায় না থাকলেও ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়, পাশাপাশি স্টোরেজ অ্যাপটিও বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে নিতে পারে। ফলে স্টোরেজ বাড়ানোর প্রয়োজন হলে আইপ্যাড আপগ্রেড করা যেতে পারে।

নতুন আইপ্যাড অ্যাকসেসরিজের সমর্থন

ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের বিকল্প হিসেবে আইপ্যাড ব্যবহার করে থাকলে বেশ কয়েকটি অ্যাকসেসরিজ ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে। সর্বশেষ আইপ্যাড সংস্করণগুলোয় অ্যাপল পেনসিল প্রো সমর্থন করে। ফলে যারা আঁকিবুঁকির কাজ করেন, তাদের উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য পেনসিলটি বেশ প্রয়োজনীয়। এছাড়া কিবোর্ড, ট্র্যাকপ্যাড, মাউস, অতিরিক্ত পোর্টসহ আরো কিছু অ্যাকসেসরিজের প্রয়োজন হতে পারে। তবে পুরনো আইপ্যাড হলে এসব গ্যাজেট সমর্থন নাও করতে পারে। ফলে পুরোপুরি অভিজ্ঞতা পেতে নতুন আইপ্যাডের প্রয়োজন হতে পারে।

ব্যাটারি ব্যাকআপ

সাধারণত আইপ্যাডের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। তবে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সময়ের পরিক্রমায় ও অতিরিক্ত তাপে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। একবার চার্জে সাধারণ কাজ করলে আইপ্যাড থেকে মোটামুটি একদিন ব্যাকআপ পাওয়া যেতে পারে। তবে সেটি কাজের ধরনের ওপর নির্ভরশীল। যদি মনে হয়, পর্যাপ্ত ব্যাকআপ পাওয়া যাচ্ছে না, তখন আইপ্যাড পরিবর্তন করা যেতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে ব্যাটারি পাল্টালেও কাজ হতে পারে।

আরও