২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)। ওই সময়ে ২ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বাজারের পূর্বাভাসের তুলনায় ৮২ কোটি ডলার বেশি। খবর টেকমনিটর।
কোম্পানির সূত্র বলছে, বার্ষিক হিসাবে টিএসএমসির গত প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যান্য মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে কোম্পানিটি। এ প্রবৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেমিকন্ডাক্টরের শক্তিশালী চাহিদা।
টিএসএমসির তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয়ও বিশ্লেষক ও বিনিয়োগকারীদের অনুমানকে ছাড়িয়ে যায়। তারা বলেছিলেন, এ প্রবৃদ্ধির মূল কারণ কোম্পানির উন্নত চিপ উৎপাদনে অংশগ্রহণ, যা এআই অবকাঠামোর জন্য ব্যবহৃত হয়। টিএসএমসি বলেছে, এআই চিপগুলো বিশেষভাবে ডাটা সেন্টার ও উন্নত কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়। আর এ প্রবৃদ্ধির মূল কারণ এনভিডিয়া। কোম্পানিটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এআই চিপ (জিপিইউ) তৈরি করে।
প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বাড়তি চাহিদার কারণে এনভিডিয়ার চিপের এখন ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব পণ্যের প্রতি এ বাড়তি চাহিদা টিএসএমসির আয় বাড়ার প্রধান কারণগুলোর একটি। কারণ টিএসএমসির প্রধান গ্রাহকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এনভিডিয়া। এছাড়া ক্লাউড কম্পিউটিং, স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ও মেশিন লার্নিংয়ের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত সেমিকন্ডাক্টরের জন্য চাহিদা বাড়ছে। এনভিডিয়া ছাড়াও তাদের প্রধান ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি হলো অ্যাপল।
শুধু টিএসএমসিই নয়, এআই প্রযুক্তির প্রবৃদ্ধি থেকে লাভবান হচ্ছে এনভিডিয়ার এআই সার্ভিসের অ্যাসেম্বলার ও ইলেকট্রনিকস নির্মাতা ফক্সকনও। সাম্প্রতিক প্রকাশিত কোম্পানির চতুর্থ প্রান্তিকের আয় বলছে, এআই সম্পর্কিত হার্ডওয়্যারের চাহিদা বাড়ছে।
রয়টার্স বলছে, টিএসএমসির এআই চিপবাজারে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আর ইন্টেল ও স্যামসাংয়ের প্রতিযোগীরা টিএসএমসির মতো উন্নত চিপ তৈরির দক্ষতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না।