আজকের দিনে অনেকেই রিমোট ওয়ার্ক ও ভার্চুয়াল মিটিং করছে জুমের মতো প্লাটফর্মে। অফিসের মিটিং, প্রেজেন্টেশন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে কলে থাকা ব্যক্তিকে ঠিকমতো দেখতে ও শুনতে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মেকইউজঅব বলছে, কয়েকটি সহজ পরিবর্তন আর কম খরচে কিছু টুল দিয়েই ভার্চুয়াল কল সহজেই আরো ভালো ও আকর্ষণীয় করা যায়—
সামান্য আলোয় বড় পরিবর্তন
ওয়েবক্যামের ছবি বা ভিডিও ভালো না লাগলে বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই ভাবেন, তাহলে বুঝি নতুন ও ভালো মানের ওয়েবক্যাম কিনতে হবে। তবে এ সমস্যার আরেকটি সমাধান হতে পারে আলোর সামঞ্জস্যতা। এক্ষেত্রে দামি স্টুডিও লাইট বা হাই-এন্ড ক্যামেরার মতো সরঞ্জামের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু পরিবর্তন, যেমন জানালার কাছে বসা, স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, একটি ছোট লাইট ব্যবহার করে ভিডিওতে আলোর গুণমান বাড়ানো যায়। আবার এ কৌশলগুলো একসঙ্গে প্রয়োগ করলে ভিডিওটি আরো বেশি মানসম্মত দেখাতে পারে।
ওয়েবক্যামের অবস্থান
অনেকেই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের ওয়েবক্যাম নিচু বা লো অ্যাঙ্গেলে রেখে ভিডিও কলে অংশ নেন। ফলে চেহারা কিছুটা অদ্ভুত দেখায় বা ফ্রেমের বাইরে চলে যায়। ওয়েবক্যামটা উঁচু স্থানে ও সোজা রাখার চেষ্টা করতে হবে, অর্থাৎ ক্যামেরাটি থাকবে ব্যবহারকারীর চোখ বরাবর। আর যদি ল্যাপটপের বিল্ট-ইন ওয়েবক্যাম ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন ল্যাপটপটি ডেস্কে সমানভাবে রাখলে এবং স্ক্রিনটি সম্পূর্ণ খোলা হলে ওয়েবক্যামের অ্যাঙ্গেল খুব একটা ভালো দেখায় না।
মাইক্রোফোনের সঠিক ব্যবহার
ভিডিওর সঙ্গে সঙ্গে অডিওর গুণগত মানও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ কথাই যদি স্পষ্টভাবে শোনা না যায়, তাহলে কলটি অনর্থক হয়ে যায়। বেশির ভাগ ম্যাকবুক ও কিছু উইন্ডোজ ল্যাপটপে ভালো বিল্ট-ইন থাকে মাইক্রোফোন। তবে আলাদা মাইক্রোফোন ব্যবহার করলে শব্দের মান আরো ভালো করা সম্ভব। স্পষ্ট অডিওর জন্য মাইক্রোফোনটি মুখের কাছ থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে রাখতে হবে। যদি ল্যাপটপের বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে হয়, তাহলে খুব দূরে বসা যাবে না, মাইক্রোফোনের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতে হবে। তবে এসব ভিডিও কনফারেন্সিং প্লাটফর্মগুলোর ভিডিও ও অডিও অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের মানের ওপরও নির্ভর করে।
ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার না করা
জুম কলের সময় ফেক বা ভার্চুয়াল ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে পছন্দ করেন অনেকেই। এতে কোনো সমস্যা না থাকলেও এগুলো প্রায়ই অস্বাভাবিক লাগে। এছাড়া নড়াচড়ার সময় কখনো কখনো এসব ব্যাকগ্র্যাউন্ড ব্যক্তিকে আড়াল করে ফেলে। প্রযুক্তিবিদদের মতে, ব্যবহারকারী যদি গোপনীয়তা চান, তবে জুমের ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার ফিচার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এটি ফেক ব্যাকগ্রাউন্ডের চেয়ে অনেক বেশি প্রাকৃতিক দেখায়। ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করা ও নয়েজ ক্যানসেলেশনের মতো প্রয়োজনীয় কিছু ফিচার রয়েছে জুমের মতো প্লাটফর্মগুলোয়। তবে ডিভাইসে এসবের আরো উন্নত সংস্করণ থাকতে পারে। যেমন অ্যাপল সিলিকন চিপযুক্ত বেশির ভাগ ম্যাকওএস ডিভাইসে উন্নত ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার ফিচার রয়েছে।