গুগল একটি প্রাইভেসি মামলা খারিজ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়, ট্র্যাকিং বাটন বন্ধ করার পরও ব্যবহারকারীদের ফোন থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে গুগল। আগস্টে এ মামলার শুনানি হতে পারে। খবর রয়টার্স।
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের দাবি অনুযায়ী, তারা তাদের ‘ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ অ্যাক্টিভিটি’ সেটিংস কীভাবে কাজ করে তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা যে ট্র্যাকিংয়ে সম্মতি দিয়েছেন তাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল কোর্টের প্রধান বিচারক রিচার্ড সিবর্গ গুগলের সেসব যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এ সময় গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের মৌলিক তথ্য সংগ্রহ কারো কোনো ক্ষতি করে না।
অ্যান্ড্রয়েড ও নন-অ্যান্ড্রয়েড উভয় মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীরা গুগলের বিরুদ্ধে তাদের প্রাইভেসি লঙ্ঘন ও ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আইন ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, গুগল অনুমতি ছাড়াই তাদের ব্যক্তিগত ব্রাউজিং হিস্ট্রি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেছে।
গত মঙ্গলবার ২০ পৃষ্ঠার একটি রায়ে সিবর্গ বলেন, ‘যুক্তিবাদী ব্যবহারকারীরা গুগলের আচরণকে “খুবই অসন্তোষজনক” হিসেবে দেখতে পারেন। কারণ কোম্পানিটি তথ্য সংগ্রহ করেছে। যদিও এ অনুশীলন সম্পর্কে তাদের কিছু কর্মী উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং কোম্পানিটি জানত যে তাদের ব্যাখ্যা অস্পষ্ট ছিল।’
তিনি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘গুগল ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টের ভেতর ও বাইরে সংগৃহীত তথ্যের মধ্যে পার্থক্য অস্পষ্ট রেখেছে। কারণ তারা ভেবেছে যে ব্যবহারকারীরা যদি সত্যটা জানে, তবে তা তাদের জন্য “ভীতিকর” হতে পারে। গুগলের কর্মকর্তারা হয়তো শুধু কোম্পানির পণ্য ও সেবাগুলো উন্নত করার উপায় প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। তবে কোন পক্ষের ব্যাখ্যা এগিয়ে থাকবে, তা বিচারযোগ্য একটি বিষয়।’
গুগল গত বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের পরিষেবায় দীর্ঘদিন ধরেই গোপনীয়তা সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ অভিযোগ তাদের পণ্যগুলো কীভাবে কাজ করে, তা ভুলভাবে বর্ণনা করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা। তারা এ মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে আদালতে তাদের মামলা চালিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা কোনো মন্তব্য করেননি। ২০২০ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া মামলার পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ আগস্ট।