ড. আবুল বাশার মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম মহোদয়ের অধীনে আমি সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম ১৪ জানুয়ারি ২০০৭ থেকে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত, যখন তিনি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। এ সময়ে আমি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ব্যাংকিং উইং প্রধান (অতিরিক্ত সচিব), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এবং শেষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। তার সঙ্গে কর্মকালটি আমার কাছে ছিল পরম সৌভাগ্যের, সানন্দ অভিজ্ঞতা অর্জনের এবং অর্থ প্রশাসনে বেশকিছু সংস্কার ও সৃজনশীল সফল উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ। প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদ এবং মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ব্যাচমেট, অনার্স ও এমএ প্রথম শ্রেণীতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী। হরিহর আত্মা এ দুই মেধাবী প্রাণপুরুষের প্রযত্নে চমৎকার টিমওয়ার্কে সে সময়কার বহুবিধ চ্যালেঞ্জ (সমকালীন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, ২০০৭ সালে দু-দুটি বড় বন্যায় বিপর্যস্ত কৃষি অর্থনীতি এবং প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের তাণ্ডবে বেহাল পরিস্থিতি) মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছিল। সাবেক ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের (১৯৩৪-২০২২) ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাতাশ মাস’ (২০০৯) গ্রন্থের সারমর্ম মোতাবেক সমসাময়িক অগোছালো অর্থনীতিকে গোছগাছ করতে, রাজস্ব আহরণ অবকাঠামোয় বিদ্যমান অদক্ষতা অপারগ পরিবেশ পরিস্থিতিকে স্বাবলম্বী করতে, ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগ খাত সম্প্রসারণের সমস্যাকে অ্যাড্রেস করতে এবং সর্বোপরি আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করতে সে সময়কার রাজনীতি-নিরপেক্ষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় এমন একটি শক্ত ভিত্তি রচিত হয়েছিল, যার সুফল ভোগ করেছিল ২০০৯ সালের নির্বাচিত সরকার ও দেশের অর্থনীতি।
২.
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহাম্মদপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ মির্জ্জা আবদুর রশীদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন একটানা ২২ বছর এবং এক টার্মে জাতীয় সংসদের সদস্য। সমাজসেবক ও গণপ্রতিনিধিত্বকারী ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য মির্জ্জা আজিজুল ইসলামেরা ছিলেন চার ভাই ও তিন বোন। সুজানগর উপজেলার খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে মির্জ্জা আজিজ ঢাকা কলেজ থেকেও প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড ফাউন্ডেশন এবং ইউএসএআইডি থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে উইলিয়ামস কলেজ থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
ড. এ. বি. মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন, পরে ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ লাভ করেন। পশ্চিম পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮২ সালে জাতিসংঘে যোগদান করেন ড. ইসলাম। তিনি জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ফর এশিয়া ও প্যাসিফিক (ইউএনএসক্যাপ), ব্যাংককের সিনিয়র অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা (১৯৮২-৮৭), ডেভেলপিং ইকোনমিকস সেকশন, ইউএন সেন্টার অন ট্রান্সন্যাশনাল করপোরেশন, নিউইয়র্কের চিফ (১৯৮৭-৯২), ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যানালাইসিস ডিভিশন, ইউএনএসক্যাপ, ব্যাংককের ডিরেক্টর (১৯৯৩-২০০১) ছিলেন। জাতিসংঘ থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ইউএনএসক্যাপ, আঙ্কটাড, এনআরপিসহ বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (২০০২-০৫) এবং সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের (২০০৬) চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশের ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভাসিটিতে অর্থনীতিতে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর। ২০০৮ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার ছিল প্রত্যক্ষ অবদান। Macroeconomic Management in Bangladesh (2015) এবং Macro Economic Policy Implementation in Bangladesh (2019) তার অন্যতম দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ।
৩.
অর্থ বিভাগের ব্যাংকিং উইংয়ের দায়িত্বে আমি ছিলাম সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব। এরপর এটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকিং বিভাগে রূপান্তর হয়। মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে আমার প্রথম দাপ্তরিক পরিচয় তিনি যখন সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। সেখানে তার নিয়োগ পরিবর্তন নিয়ে অর্থ বিভাগ থেকে একটি উদ্যোগে আমি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে যাচ্ছি, ঠিক এমন একটা সময়ে নবপর্যায়ে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে তিনি নিজে অধিষ্ঠিত হলেন। পদোন্নতি পেয়ে পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য (সচিব) হিসেবে তারই অধীনে যাওয়ার আগে ব্যাংকিং উইংয়ে স্বল্পকাল আমি তার সঙ্গে এই প্রথম সরাসরি কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেই স্বল্প সময়ে তার সঙ্গে আমার একটি অনুপম পারস্পরিক ওয়ার্কিং আন্ডারস্টান্ডিং গড়ে ওঠে। মনে পড়ছে সে সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডি পদে পদোন্নতি ও পদায়নের একটি নথি খুঁটিনাটি দেখেশুনে আমরা প্রস্তাব করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠিয়েছিলাম অনুমোদনের জন্য। প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়ে নথিটি স্যারের কাছে ফেরত আসার আগেই সে পদোন্নতি আটকানোর চেষ্টা হয়। এ অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থানই নিয়েছিলেন।
পরিকল্পনা কমিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভৌত অবকাঠামো বিভাগের দায়িত্বটি তিনি আমার ওপর অর্পণ করেছিলেন, এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও শক্তি বিভাগের ‘শক্তি’কে কেটে নিয়ে আমাকে দেন। তার প্রেরণা ও প্রত্যয়দীপ্ত অনুসমর্থনেই পরিকল্পনা কমিশনে আমার মাত্র আট মাসের অবস্থানকালে পদ্মা সেতু প্রকল্প, হাতিরঝিল প্রকল্প, বনানী-গুলশান সংযোগ সেতু, বিজয় সরণি টু তেজগাঁও ফ্লাইওভার, ঢাকার চারদিকে নৌপথ প্রকল্প, রোকেয়া সরণি প্রকল্প, দীর্ঘদিন আটকে থাকা রেলওয়ের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, অসংখ্য সড়কসেতু সংস্কার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কল্পনা জল্পনা পর্যায়ে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকায় ডোনারদের সঙ্গে অর্থায়ন বিষয়ে নেগোসিয়েশন শুরু করা যাচ্ছিল না। প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টা দুজনই পদ্মাপারের মানুষ এবং এ প্রথম পদ্মা ও যমুনার অন্য পারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, তারা দুজনই পদ্মা সেতু প্রকল্প অনুমোদনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। স্যার আর আমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হিসাব কষে যতদূর সম্ভব নিজস্ব অর্থায়ন নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়নে ডোনারদের ওপর আমাদের প্রাধান্য (৪০ শতাংশ) বজায় রেখে তিন ডোনারকে ২০ শতাংশ হারে অর্থায়নে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করি। কীভাবে আমাদের অর্থায়ন অর্জিত হবে তার উপায় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা রাখি। যেদিন একনেকে আমি এ প্রকল্প উপস্থাপন করব তার আগের বিকালে প্ল্যানিং কমিশন থেকে কানাঘুষা শুনলাম পদ্মায় সেতু নির্মাণ নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাবের ওপর কিছু টেকনিক্যাল আপত্তি তোলার ব্যাপারে কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমি সন্ধ্যায় স্যারকে জানালাম। স্যার রেড ফোনে আমার সামনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে ফোন করে বললেন, ‘মজিদ বলছে আগামীকাল প্রকল্পটি প্রভিশনালি (যেহেতু তখনো ডোনারের অর্থায়ন নেগোসিয়েশন শেষ হয়নি বিধায়) পাস করার বিরুদ্ধে আপত্তি বা যুক্তি তোলা হবে।’ অন্য প্রান্ত থেকে বলা হলো ‘সদস্য ভৌত অবকাঠামো যেন তার উপস্থাপনকালে কোথাও প্রভিশনাল শব্দটি ব্যবহার না করেন। বাকিটা দেখা যাবে।’ একনেকে আমি অনেকটা আবেগে (আমিও পদ্মার ওপারের) উপযুক্ত উপস্থাপন করলাম। উপস্থাপন শেষ হলে একনেক সভা প্রধান বললেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রকল্প অনেক আগেই গৃহীত হওয়া উচিত ছিল। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে একাধিকবার পরিবর্তনের অবকাশ তৈরি হবে। আমরা আজ প্রকল্পটির শুভসূচনার জন্য অনুমোদন দিতে চাই।’ তিনি প্রস্তাবটির ওপর ফ্লোরে মতামত চাইলেন না। মিনিটস সেভাবেই হলো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আমি শুল্ককর রাজস্ব বাজেট তৈরির সময় স্যারকে অত্যন্ত নিবিষ্ট চিত্তে পেয়েছিলাম। একেকটি সেশনে ৭-৮ ঘণ্টা ধরে তিনি সবাইকে নিয়ে বসতেন, বাজেট প্রস্তাবের প্রত্যেকটি আইটেমের ওপর সেকেন্ড সেক্রেটারি ফার্স্ট সেক্রেটারিদের যুক্তি ও হোমওয়ার্ক জানতে চাইতেন। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে যতদূর সম্ভব বাস্তবায়ন বা অর্জন যোগ্যতা-দক্ষতার ওপর জোর দিতেন। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার কোটি টাকা। তার পরামর্শ ও প্রেরণায় সেই প্রথম এবং শেষবারের মতো সে বছর রাজস্ব আহরণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার কোটি বেশি অর্জিত হওয়ায় স্যার তথা সরকারের অনুমোদন নিয়ে এনবিআরের সব পর্যায়ের চাকরিজীবীদের (চেয়ারম্যান বাদে) মাথাপিছু পাঁচটি করে ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছিল।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাজেট প্রস্তাব নেয়ার কাজ জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা ছিল তার। প্রাপ্ত সব প্রস্তাবের ওপর এনবিআর এবং এফবিসিসিআইয়ের মতামত মন্তব্য একত্র করে তার কাছে মার্চের মধ্যে পেশ করার তাগিদ ছিল, যাতে পলিসি নির্ধারণে চিন্তাভাবনার সময় পান। তার সিদ্ধান্তে এনবিআর থেকে পলিসি উইং আলাদা করে মন্ত্রণালয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষ কর প্রদানে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা পর্যায়ে, দীর্ঘমেয়াদে সর্বোচ্চ করদাতাদের সম্মান ও স্বীকৃতি দানের প্রথা সেবারই চালু করা হয়েছিল। প্রথমবার ২০০৮ সালে দেশসেরা দীর্ঘকাল ও সর্বোচ্চ কর পরিশোধকারী হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছিলেন পাবনারই কৃতী শিল্প ব্যক্তিত্ব স্যামসন এইচ চৌধুরী। স্কয়ার গ্রুপের কর্ণধার স্যামসন এইচ চৌধুরী তার ছোট্ট ফার্মেসির দোকানের আয়ের ওপর ১৯৫২ সাল থেকে নিয়মিত কর দিয়ে আসছিলেন। পাবনারই কৃতী অর্থনীতিবিদ মাননীয় অর্থ উপদেষ্টার কাছ থেকে সম্মাননা গ্রহণের সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারণা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বরকে আমরা জাতীয় আয়কর দিবস ঘোষণা করি। এটি হওয়ার কথা ছিল ১ সেপ্টেম্বর, যেহেতু সেপ্টেম্বর কর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময়। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সময় দিতে না পারায় এটি ১৫ সেপ্টেম্বরে গিয়ে দাঁড়ায়। ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় গুরুত্বপূর্ণ চীন সফরে থাকায় তার উদ্বোধনী ভাষণ আমাকে পাঠ করার সানুগ্রহ অনুমতি দিয়ে যান। সিএসআরের ওপর ১০ শতাংশ কর রেয়াত দেয়ার প্রথা প্রবর্তন এবং কর কর্মকর্তাদের ডিসক্রিয়েশনারি পাওয়ার সীমিতকরণসহ বেশকিছু সংস্কারধর্মী পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের সদয় অনুমোদনে।
বণিক বার্তা ও বিআইডিএস গুণীজন হিসেবে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এ. বি. এম. মো. আজিজুল ইসলাম এবং সাবেক সচিব ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সংবর্ধনার আয়োজন করে দেশ ও অর্থনীতির কৃতজ্ঞতাভাজন হবে। আমি আমার এ দুই মেন্টরের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ অভিবাদন এবং তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ: সরকারের সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান