প্রথা ভাঙা উদ্যোগের কথা

সব দেশে সর্বকালে কিছু মানুষ থাকেন, যারা ইতিহাস সৃষ্টি করে যান, তাদের সবাই হয়তো ইতিহাসে স্থান পান না। প্রথার বাইরে গিয়ে কিছু করার সাহস ও উদ্যম দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির মতো কীর্তি না গড়লেও দেশ ও জাতির জন্য তারা রেখে যেতে পারেন অমূল্য কিছু অবদান। আমাদের দেশের অনেক ক্ষমতাবান মানুষ কিংবা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রথাবিরুদ্ধ কিছু করতে সাহস কিংবা আগ্রহ পান

সব দেশে সর্বকালে কিছু মানুষ থাকেন, যারা ইতিহাস সৃষ্টি করে যান, তাদের সবাই হয়তো ইতিহাসে স্থান পান না। প্রথার বাইরে গিয়ে কিছু করার সাহস ও উদ্যম দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টির মতো কীর্তি না গড়লেও দেশ ও জাতির জন্য তারা রেখে যেতে পারেন অমূল্য কিছু অবদান। আমাদের দেশের অনেক ক্ষমতাবান মানুষ কিংবা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রথাবিরুদ্ধ কিছু করতে সাহস কিংবা আগ্রহ পান না। এ অনিচ্ছার পেছনের মূল কারণ তাদের গতানুগতিক চিন্তাধারা, নিজের গা বাঁচিয়ে চলার প্রবণতা এবং সর্বোপরি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং সদিচ্ছা থাকলেই কেবল প্রথা ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার সাহস ও ক্ষমতা রাখে মানুষ। এ প্রথা ভাঙা মানে আইন ভাঙা নয়। আইনে কিছুই লেখা নেই, সেই অলেখা আইনের ভেতর দিয়ে ভালো ও মন্দ অনেক কিছু করা যায়। আমাদের দেশের প্রবণতায় দ্বিতীয় কর্মটি বেশি হয় বলে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী প্রতিকারহীন অনেক দুষ্কর্ম সংঘটিত হয়। তবে প্রথা ভেঙে ভালো কাজের উদাহরণও দেয়া যাবে অনেক। তেমনই একটির জন্য দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮৫ শতাংশ অবদান রেখে তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান আজ উঠে এসেছে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে।

মূলত পাট রফতানির ওপর ভিত্তি করে একটা স্বাধীন দেশের অর্থনীতি চলতে পারে না, সদ্য স্বাধীন দেশে এ সত্য অনেকে উপলব্ধি করলেও রফতানি বহুমুখীকরণের প্রথম চেষ্টা শুরু হয় তৈরি পোশাক রফফানির মধ্য দিয়ে। ততদিনে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা কমতে শুরু করেছে, আমাদের একমাত্র গর্ব সোনালি আঁশ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছে তার গৌরব।

তৈরি পোশাক খাতের এ অবদান নিশ্চিত হওয়ার পেছনের মূল নিয়ন্তা ছিল দুটি সিদ্ধান্ত: একটি হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানি মূল্য পরিশোধের পরিবর্তে ব্যাক টু ব্যাক এলসি, আরেকটি শুল্কছাড়ে কাঁচামাল আমদানি করে রফতানি করার জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা। তবে এ দুই সুবিধা চালু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রফতানি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এটি শুরু হয়েছিল ১৯৭৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্সে ১০ হাজার শার্ট রফতানির মধ্য দিয়ে, যার পথ দেখিয়েছিল রিয়াজ গার্মেন্টস। প্রথম চালানের সে শার্টের রফতানি মূল্য ছিল ১৩ লাখ ফ্রাঁ, তখনকার বিনিময় হারে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটি মূল বাজার ছিল অভ্যন্তরীণ। প্রথম ধাপের এ রফতানির জন্য প্রতিষ্ঠানটির ব্যাক টু ব্যাক কিংবা বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা নেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না, তবু আমাদের দেশের তৈরি পোশাক যে প্যারিসের মতো ফ্যাশন নগরীর মানুষ গ্রহণ করেছিল, সেটিই ছিল প্রথম বিজয়।

রিয়াজ গার্মেন্টসের কর্ণধার স্বল্পশিক্ষিত ব্যবসায়ী রিয়াজউদ্দিন এ সময় আরেকটি বৈপ্লবিক কাজ করেছিলেন তার পোশাক কারখানায় সেলাইয়ের কাজে মেয়েদের নিয়োগের মাধ্যমে। তাদের এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য হলেও কাজটি সহজ ছিল না। সামাজিক বাধা-নিষেধের কারণে মেয়েদের পরিবারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তিনি যে সাহসের কাজটি করেছিলেন, সেটি হচ্ছে নিজের বড় মেয়েকে এ কাজে বহাল করা। এসএসসি পাস করা মেয়েটি বাবার ডাকে সাড়া দিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন তার প্রতিষ্ঠানে পোশাক তৈরির কাজে, মাসিক বেতন ১০০ টাকা। এ বেতনের কথা ছড়িয়ে পড়লে মেয়েদের কেউ কেউ আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন। ফলে রিয়াজ গার্মেন্টসের পাঁচজন বস্ত্রবালিকাই ছিলেন আমাদের স্বনির্ভর পেশায় নিয়োজিত বর্তমান পোশাককর্মীদের অগ্রদূত। প্যারিসের বাজারে ঢোকার পর এটি ছিল রিয়াজ গার্মেন্টসের দ্বিতীয় বিজয়।

পরের বৈপ্লবিক ধাপগুলো এ বিজয়ের পথকে মসৃণ ও প্রশস্ত করেছে। কাজটির পেছনের সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মুজিবনগর সরকারের প্রথম সচিব এবং পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্থাপন সচিব এবং শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি দেশ গার্মেন্টসের উদ্যোক্তা নুরুল কাদের খানের। সরকারি চাকরি ছেড়ে ১৯৭৪ সালে ব্যবসায়ী জীবন শুরু করেছিলেন তিনি।

সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু কোম্পানির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মাল্টি ফাইবার চুক্তির কারণে কোরিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো আমেরিকায় গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে কোটা ব্যবস্থার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। বাংলাদেশে তখনো তৈরি পোশাক শিল্প বিকাশ লাভ করেনি বলে দাইয়ু এখানে পোশাক কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নুরুল কাদের খান ও দাইয়ু কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ছয় লাইন, ৬০০ কর্মী আর বছরে ৫০ লাখ পিস শার্ট তৈরির সক্ষমতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম শতভাগ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা ‘দেশ গার্মেন্টস।’ কেবল কারখানা স্থাপন করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বাংলাদেশে থেকে ১৩০ জন কর্মীকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন রফতানিমুখী পোশাক তৈরি ও ব্যবস্থাপনার কারিগরি জ্ঞান লাভের প্রশিক্ষণের জন্য। প্রথম পাঠানো এ কর্মিবাহিনীর মধ্যে ১৮ জনই ছিলেন নারী। তাদের হাতে তৈরি মোট ১৩ লাখ ডলারের বিনিয়োগ দিয়ে জার্মানিতে ১ লাখ ২০ হাজার শার্ট রফতানি করে যাত্রা করে দেশ গার্মেন্টস।

এ সময় বাংলাদেশের রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের সম্পূর্ণটাই ছিল আমদানিনির্ভর। পোশাক তৈরির মূল কাঁচামাল র কাপড় থেকে শুরু করে সুতা, বোতাম, জিপার, প্যাকেজিং সামগ্রী সবকিছুই আমদানি করে আনতে হতো। বাংলাদেশের কারখানায় করা হতো কেবল সেলাইয়ের কাজটি। সে সময় সব ধরনের কাঁচামাল আমদানি করার জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ ছিল অপ্রতুল। সুতরাং রফতানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানা স্থাপন করলেও প্রয়োজনীয় বিদেশী মুদ্রার অভাবে সেটি চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে।

১৯৮১-৮২ সালে দেশ গার্মেন্টসকে ১৮ কোটি টাকার রফতানি করার অনুমোদন দেয়া হলেও দেশের আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (সিসিআইঅ্যান্ডই) প্রতিষ্ঠানটিকে কাঁচামাল আমদানি করার অনুমতি দেয় মাত্র ২৪ লাখ টাকার। সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় রফতানি মূল্যের মাত্র ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কাঁচামাল দিয়ে কীভাবে পণ্য তৈরি হবে, সেটি কেউ ভেবেছিলেন বলে মনে হয় না। এ কথা ঠিক, সে সময় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার অভাব ছিল, তার পরও এ অপর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে রফতানির প্রয়োজনীয় পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করা কিছুতেই সম্ভব হতো না। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, কর্মজীবনে নুরুল কাদের খানের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী। তার কাছে গিয়ে মরিয়া নুরুল কাদের খান একটা ব্যতিক্রমী প্রস্তাব পেশ করেন। প্রস্তাবটি ছিল রফতানি আদেশসংবলিত বিদেশী ক্রেতার এলসির (মাস্টার এলসি) বিপরীতে বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানির জন্য একটা এলসি (ব্যাক টু ব্যাক) খুলতে হবে, যার মূল্য পরিশোধের মেয়াদ হবে ৯০ কিংবা ১২০ দিন পর। এর মধ্যে আমদানীকৃত কাঁচামাল ব্যবহার করে মাস্টার এলসিতে নির্দেশিত পণ্য জাহাজীকরণ করা সম্ভব হবে। তার বিপরীতে যে রফতানি মূল্য পাওয়া যাবে, সেটা দিয়ে পরিশোধ করা হবে ব্যাক টু ব্যাক এলসির দায়। এ প্রক্রিয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার না করেও আমদানি সম্ভব হবে, উপরন্তু আমদানি মূল্য পরিশোধ এবং অন্য খরচাদি মেটানোর পর রফতানি মূল্যের যে উদ্বৃত্ত থাকবে, খুব সামান্য হলেও সেটিই হবে নিট রফতানি আয়।

প্রক্রিয়াটি অভিনব ছিল বটে, কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর প্রস্তাবটি ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়াতে পুরো নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হয় অর্থ মন্ত্রণালয়, আমদানি রফতানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অনুমোদন নিয়ে। কাঁচামাল আমদানিসংক্রান্ত সমস্যাটি মিটলেও আমদানি শুল্ক পরিশোধের বিষয়ে জটিলতা থেকে যায়। তাই শতভাগ রফতানিযোগ্য পণ্যের জন্য আমদানীকৃত কাঁচামালকে একটা শুল্কহীন গুদামে (বন্ডেড ওয়্যারহাউজ) রাখার ব্যবস্থাসংবলিত নীতিমালা প্রণয়নের পেছনেও ছিল নুরুল কাদের খানের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ক্ষুরধার যুক্তির প্রভাব।

এতকিছু অগ্রগতির পরও বাংলাদেশের তখনকার তৈরি পোশাক শিল্প ছিল অনেকটা দর্জিবাড়ির মতো, গ্রাহক সব কাঁচামাল সরবরাহ করলে আমাদের কর্মিবাহিনী গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরি করে দিত। ফলে আমাদের রফতানি আয় সীমিত ছিল কেবল উৎপাদন খরচ, যথা মজুরি, বিদ্যুৎ, কারখানার ভাড়া ইত্যাদির মধ্যে। রফতানি মূল্য বাড়ানোর একমাত্র উপায় ছিল রফতানি পণ্যে মূল্য সংযোজন বাড়ানো, যা সম্ভব মূল কাঁচামাল অর্থাৎ রফতানি মানের কাপড় দেশের মধ্যে উৎপাদন করা। কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল স্থাপন করলেই এটি সম্ভব। এ ধারণার বাস্তবায়ন হওয়ার পর দেশের তৈরি পোশাক রফতানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর বিদেশী বস্ত্রের ওপর নির্ভর করতে হয়নি। ক্রমে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিটি কাঁচামালই দেশে তৈরি হতে থাকে এবং সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মূল্য সংযোজন। ফলে আজ দেশের মোট রফতানিতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান সর্বোচ্চ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছায়, যা মোট রফতানি আয়ের ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

ওপরের আলোচনা থেকে পরিষ্কার যে তৈরি পোশাক রফতানির ভিত রচনার মূল কাজটি করেছিলেন দুজন স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষ: রিয়াজ গার্মেন্টসের মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন ও দেশ গার্মেন্টসের নুরুল কাদের খান। তাদের দুজনের উদ্যোগের মধ্যে সমিল উল্লেখযোগ্য উপাদান ছিল দুটো: তৈরি পোশাকের বিদেশী বাজার সৃষ্টি করা এবং উৎপাদন কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় উপাদানটির অবদান ছিল বৈপ্লবিক, কারণ নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়ার সুফল ছিল বহুমাত্রিক। তবে নুরুল কাদের খানের উদ্ভাবিত ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ এবং পরবর্তী সময়ে কম্পোজিট টেক্সটাইলের ধারণা পুরো বিষয়টিকে সাফল্যের শিখরে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছিল।

এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও অভাবনীয় সাফল্যের প্রথম সহযোগী ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর। এ উদ্যোগ এবং পুরো প্রক্রিয়ার নীরব সহযোগী ছিল দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এ সহযোগিতা শুরু হয়েছিল ব্যাক টু ব্যাক এলসি দিয়ে, পরবর্তী সময়ে যা বিস্তৃত হয়েছিল প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানি, কারখানা স্থাপন, সেগুলোয় বিদেশী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চাহিদামাফিক বিভিন্ন বাড়তি সুবিধা সংযোজনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পর্যন্ত। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যদি তাদের কর্মপরিধির মধ্যে থেকে কেবল স্বল্পমেয়াদি চলতি মূলধন সরবরাহ করত এবং প্রথা ভেঙে দীর্ঘমেয়াদি শিল্পঋণ দিতে অস্বীকার করত, তাহলে আমাদের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প আজ কোথায় থাকত, কিংবা আদৌ সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারত কিনা, সে সংশয় থেকেই যায়।

এ খাতের সাফল্যের ইতিহাস থেকে আমরা একাধিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি: প্রথা ভাঙা ধারণা নিয়ে এগিয়ে আসা স্বপ্নদর্শী কোনো উদ্যোক্তার ভূমিকা এবং সরকারের উচ্চমহলের নীতিনির্ধারকদের আমলাতান্ত্রিক অচলায়তনের বাইরে এসে সহায়তা করার মনোভাব বদলে দিতে পারে একটি দেশের ভবিষ্যৎ। এভাবেই যুগে যুগে ইতিহাস রচনা করে ক্ষণজন্মা মানুষ এগিয়ে নিয়ে গেছেন দেশ ও জাতিকে। এ রকম অনেক মানুষের দরকার আমাদের।

লেখক: ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক

আরও