আর্থিক বিষয়ক কোনো লেখাই তার নজর এড়াত না

চলমান মারণমারী কভিডের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন দেশের আরেকজন কৃতী সন্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী। তার অন্তর্ধানে ব্যাংকিং জগতে যে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সবচেয়ে বেশি অনুভব করবেন সেইসব ভাগ্যবান, যারা খুব কাছে থেকে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার সঙ্গে প্রথম মৌখিক সাক্ষাতের দিনটির

চলমান মারণমারী কভিডের সর্বশেষ শিকার হয়েছেন দেশের আরেকজন কৃতী সন্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী। তার অন্তর্ধানে ব্যাংকিং জগতে যে অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সবচেয়ে বেশি অনুভব করবেন সেইসব ভাগ্যবান, যারা খুব কাছে থেকে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার সঙ্গে প্রথম মৌখিক সাক্ষাতের দিনটির কথা স্মরণ করলে বুঝতে পারি তার পঠন পরিধি কত বিস্তৃত ছিল। ২০১৫ সালে তার দপ্তরে দর্শনপ্রার্থী হয়ে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলাম। নাম বলার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বভাবসুলভ কণ্ঠে বলেছিলেন, পত্রিকায় আর্টিকেল লেখে যে সেই ফারুক মঈনউদ্দীন? বিস্মিত হয়েছিলাম, আমার মতো অপরিচিত একজনের অকিঞ্চিত্কর লেখা তার চোখে পড়েছে!

বুঝতে পারি, ব্যাংকিং অর্থনীতিবিষয়ক কোনো লেখাই তার নজর এড়ায় না। তখন তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি ১৯৯৮ সালে যখন প্রথম স্ট্যান্ডবাই এলসির প্রচলন হয়, তার পরের বছর একটি ব্যাংকের চট্টগ্রামের এক অখ্যাত শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে রকম একটি এলসি খোলার জন্য টেলিফোনে কীভাবে তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সহায়তা পেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন নির্বাহী পরিচালকের কাছ থেকে যে আন্তরিক অবিভাবকসুলভ পথনির্দেশনা সেদিন পেয়েছিলাম, সেটি আমার অনেক দুর্লভ অভিজ্ঞতার একটি। তিনি আজ নেই, তবু রয়ে যাবে তার অবিনাশী কীর্তিগুলো।মরণ বাড়িবে যত জীবন বাড়িবে তত, পলে পলে উঠিব আকাশে নক্ষত্রের কিরণনিবাসে।

 ফারুক মঈনউদ্দীন: ব্যবস্থাপনা পরিচালক

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড

আরও