কম খরচে ভ্রমণের উপায়

সম্ভব হলে অফ-সিজনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। এ সময় ভিড় কম থাকে। ফলে হোটেল ও খাবারের খরচও সাশ্রয়ী হয়।

জীবনের অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই ভ্রমণেরও রয়েছে সাধ ও সাধ্যের দ্বন্দ্ব। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্পের বাড়-বাড়ন্ত খরচ বাড়াচ্ছে ভ্রমণের। তাই বলে ঘরে বসে তো থাকা যায় না। কারণ, ভ্রমণ মানেই নতুন অভিজ্ঞতা, মুক্ত বাতাস আর দারুণ সব স্মৃতি। তবে কম খরচে বেশি জায়গায় ঘুরতে চাইলে হতে হবে একটু কৌশলী।

কিছু সহজ উপায় মেনে চললে বাজেটের মধ্যেই স্বপ্নের গন্তব্যে ঘুরতে পারবেন-

ভ্রমণের বাজেট

কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কতদিন থাকবেন?- এসব পরিকল্পনা আগে থেকেই করে নিন। এতে খরচের একটি প্রাথমিক হিসাব থাকবে এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়ানো যাবে।

অফ-সিজনে ভ্রমণ

শীতকাল বা ছুটির মৌসুমে ভ্রমণের খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। এ সময় হোটেল, খাবার ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। তাই সম্ভব হলে অফ-সিজনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। এ সময় ভিড় কম থাকে। ফলে হোটেল ও খাবারের খরচও সাশ্রয়ী হয়।

সাশ্রয়ী থাকার ব্যবস্থা

ব্যয়বহুল হোটেলের বদলে বাজেটবান্ধব হোটেল বা গেস্টহাউস খুঁজুন। অনলাইনে বিভিন্ন বুকিং প্ল্যাটফর্মে কম খরচে ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়। দলগতভাবে গেলে রুম শেয়ার করলে খরচ আরো কমে আসে।

গণপরিবহন ব্যবহার করুন

ট্যাক্সি বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে লোকাল বাস, ট্রেন ব্যবহার করুন। খরচ কমানোর পাশাপাশি এতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন।

ডিসকাউন্ট অফার খুঁজুন

বিভিন্ন ট্রাভেল ওয়েবসাইট ও হোটেল বুকিং প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ছাড় ও অফার দেয়া হয়। ফ্লাইট, হোটেল ও অন্যান্য খরচে ছাড় পেতে এসব সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন।

ভ্রমণ প্যাকেজ

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর বিভিন্ন প্যাকেজ অফার থাকে, যেখানে ফ্লাইট, হোটেল ও অন্যান্য সুবিধা একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এতে আলাদাভাবে বুকিংয়ের তুলনায় খরচ কম হয় এবং ঝামেলাও কমে।

স্থানীয় খাবার খান

ফাস্ট ফুড চেইন বা ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁর পরিবর্তে স্থানীয় খাবারের দোকান বা রাস্তার খাবার ট্রাই করুন। এতে খরচ কমবে এবং সেখানকার সংস্কৃতির স্বাদও পাবেন।

স্থানীয়দের পরামর্শ নিন

যেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন, সেখানকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলুন। তারা কম খরচে থাকার জায়গা, খাওয়ার ব্যবস্থা ও ঘোরার স্থান সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।

আরও