ইরানি টিভি ভবনে লাইভ সম্প্রচারে হামলা, তেহরানের তীব্র নিন্দা

আইআরজিসি হামলাটিকে ‘অমানবিক, অপরাধমূলক এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

লাইভ সম্প্রচারে দেখা যায়, উপস্থাপক বলছিলেন—‘বাড়ছে আগ্রাসনের আওয়াজ, স্টুডিওতে ধুলো ঢুকছে।‘ ঠিক তখনই বিকট এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, এবং উপস্থাপক তড়িঘড়ি করে ক্যামেরার বাইরে চলে যান। মুহূর্তের মধ্যে স্টুডিও ধোঁয়া ও ধুলায় ঢেকে যায়।

তেহরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ইরান। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে তেহরানের ইরানিয়ান রেডিও-টেলিভিশন (আইআরআইবি) অফিসে সরাসরি সম্প্রচারের সময় এই হামলা চালানো হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই জঘন্য হামলা একটি স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত, যেন এই গণহত্যাকারী আগ্রাসী রাষ্ট্র আরো ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে।‘

লাইভ সম্প্রচারে দেখা যায়, উপস্থাপক বলছিলেন—‘বাড়ছে আগ্রাসনের আওয়াজ, স্টুডিওতে ধুলো ঢুকছে।‘ ঠিক তখনই বিকট এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, এবং উপস্থাপক তড়িঘড়ি করে ক্যামেরার বাইরে চলে যান। মুহূর্তের মধ্যে স্টুডিও ধোঁয়া ও ধুলায় ঢেকে যায়। পর্দার বাইরে থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শোনা যায়। সম্প্রচার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর লাইভ সম্প্রচার পুনরায় শুরু হয়।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) হামলাটিকে ‘অমানবিক, অপরাধমূলক এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে চলা ছায়াযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ বেসামরিক মানুষ।

এর জবাবে ইরান শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার ফলে ইসরায়েলে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে।

ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং বহু বছর ধরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় নাশকতা চালানো এবং বিজ্ঞানীদের হত্যার অভিযোগ করে আসছে।

আরও