দোহায় 'অগ্রগতির' পর গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে

যুদ্ধবিরতির আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার মতে, সোমবার মধ্যরাতে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ‘অগ্রগতি’ হওয়ার পর মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে একটি চূড়ান্ত খসড়া চুক্তি দিয়েছেন। এই আলোচনায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতরাও উপস্থিত ছিলেন।

কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আলোচনাকারীরা গাজায় যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনার বিস্তারিত চূড়ান্ত করার জন্য মিলিত হবেন। এ প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি সমর্থন করেছেন এমন এক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি কার্যকর হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে। খবর রয়টার্স।

যুদ্ধবিরতির আলোচনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার মতে, সোমবার মধ্যরাতে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ‘অগ্রগতি’ হওয়ার পর মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে একটি চূড়ান্ত খসড়া চুক্তি দিয়েছেন। এই আলোচনায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূতরাও উপস্থিত ছিলেন।

বাইডেন সোমবার তার পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য তুলে ধরার ভাষণে বলেন, এই চুক্তি জিম্মিদের মুক্ত করবে, যুদ্ধ থামাবে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং যুদ্ধের কারণে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর সুযোগ দেবে।

সংঘাতের শুরুর দিনগুলোতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে হামাস মুক্তি দিয়েছিল তাদের জিম্মায় থাকা জিম্মির প্রায় অর্ধেককে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি আলোর মুখ দেখলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার ইতি যেমন ঘটবে তেমনি বাকি জীবিত জিম্মিদেরও মুক্তি মিলবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে যুদ্ধবিরতির আলোচনা সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা জানান, দোহায় কাতারের মাধ্যমে উভয় পক্ষের কাছে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির জন্য একটি চুক্তির খসড়া তুলে ধরা হয়েছে।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটি (যুদ্ধবিরতি চুক্তি) সম্পন্ন করার ভালো সম্ভাবনা পেয়েছি। উভয় পক্ষই এই চুক্তি সম্পাদনের একদম কাছাকাছি রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব এখন হামাসের।

এদিকে, হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৩ জন জিম্মির মুক্তির বিষয়ে আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখনো ৯৮ জন জিম্মি রয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতির আগের চেয়ে অনেক উন্নতি ঘটেছে। আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিশ্চিত করতে বিশাল প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও