দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত বহিষ্কৃত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রথম শুনানি করেছে। গত মাসে ইউন আকস্মিকভাবে দেশে সামরিক আইন ঘোষণা করার চেষ্টার পর এই বিচার শুরু হয়। খবর বিবিসি।
ইউনের অনুপস্থিতির কারণে শুনানিটি মাত্র চার মিনিটেই শেষ হয়ে যায়। তার আইনজীবীরা আগে বলেছিলেন, তিনি তার নিরাপত্তার স্বার্থে উপস্থিত থাকবেন না, কারণ তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পৃথক অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
ডিসেম্বরে ইউনের নিজের দলের সদস্যরা বিরোধীদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিলে বহিষ্কৃত হন ইউন সুক ইয়ল। তবে তাকে প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অপসারণ করা হবে কেবল তখনই, যদি আট সদস্যের বেঞ্চের অন্তত ছয়জন অভিশংসন বহাল রাখার পক্ষে ভোট দেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুসারে, ইউনের অংশগ্রহণ ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আগে আদালতকে নতুন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তী শুনানির তারিখ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইউনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি ‘উপযুক্ত সময়ে’ শুনানিতে হাজির হবেন। তবে তারা শুনানির তারিখ নিয়ে আদালতের ‘একতরফা সিদ্ধান্ত’কে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেয়। এরপর থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি ইউন।
তদন্তকারীরা পৃথকভাবে ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করার আরো একটি প্রচেষ্টার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৩ জানুয়ারির আগে একবার তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে তা ব্যর্থ হয়।
ইউন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতারের সম্মুখীন হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুযায়ী, তাকে গ্রেফতারের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা এই সপ্তাহেই হতে পারে।
৩ ডিসেম্বর ইউন সাময়িক সামরিক আইন ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়া রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন যে, ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ শক্তি থেকে দেশকে রক্ষা করছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ইউনের নিজের রাজনৈতিক সমস্যার কারণে সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল।