অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সিডনির হাসপাতালের দুই কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ইসরায়েলি রোগীদের চিকিৎসা না করার এবং হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে দেখা গেছে। তাদের সিডনির একটি হাসপাতালের নার্স হিসেবে শনাক্ত করার পর তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রায়ান পার্ক। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
দুই নার্সের আলোচিত ভিডিওটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এটিকে ‘বীভৎস ও লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইসরায়েলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর ম্যাক্স ভাইফার ভিডিওটিও প্রকাশ করেন। সেখানে একটি অনলাইন আলোচনায় অংশ নেন তিনি। আলোচনায় নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি হাসপাতালের দুই কর্মীও ছিলেন। ভিডিও চ্যাটের এই প্ল্যাটফর্মে ভাইফার যাদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের সাধারণত ইসরায়েল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভাইফার নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতীকযুক্ত চিকিৎসকদের পোশাক পরা এক ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। সেই ব্যক্তিও নিজেকে একজন ডাক্তার হিসেবেই পরিচয় দেন।
ভাইফার তার ইসরায়েলি পরিচয় দিলে ওই ব্যক্তি বলেন, আমি তোমার সঙ্গে সত্যি কথাই বলবো। আমি খুবই হতাশ যে তুমি ইসরায়েলি। শেষ পর্যন্ত, তোমরা সবাই মরবে এবং জাহান্নামে যাবে।
এরপর ভাইফার ওই ব্যক্তি ও তার পাশে বসা এক নারীর কাছে জানতে চান, যদি কোনো ইসরায়েলি তাদের হাসপাতালে আসেন, তারা কী করবেন। উত্তরে ওই নারী বলেন, আমি তাদের চিকিৎসা করব না, আমি তাদের হত্যা করব।
পুরুষ কর্মীটি তখন যোগ করেন, তুমি জানো না কত ইসরায়েলি এখানে এসেছে, আমি তাদের সবাইকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি সত্যিই তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছি।
এ ভিডিও ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। নিউ সাউথ ওয়েলসের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রায়ান পার্ক ভিডিওটিকে ‘জঘন্য, নিকৃষ্ট ও ভয়ংকর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, পুরো ভিডিওটি আমার জন্য গভীর উদ্বেগের। তারা এই ধরনের মন্তব্য করেছে ইউনিফর্ম পরে, যখন তাদের উচিত ছিল রোগীদের যত্ন নেয়া।
তিনি নিশ্চিত করেন যে, সংশ্লিষ্ট দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তারা ব্যাংকস্টাউন হাসপাতালের নার্স। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।