ওয়াশিংটনে জেক সুলিভান

শেখ হাসিনার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভ ও এর ধারাবাহিকতায় গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। এ ধরনের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ওই সময় ঢাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার কথা ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বিশ্বাস করেন না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্যমতে, ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার সকালে হোয়াইট হাউজের রুজভেল্ট রুমে নির্বাচিত একদল সাংবাদিকের সঙ্গে আলোচনাকালে জেক সুলিভান এমন বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধিও ছিলেন।

ওই সাংবাদিক জেক সুলিভানের কাছে বাংলাদেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত থাকার ভারতীয়দের সন্দেহের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চান। একই সঙ্গে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’ ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরিতে কাজ করছে বলে বিজেপির অভিযোগ এবং এ ‘ডিপ স্টেটে’ জেক সুলিভানের সংশ্লিষ্টতা প্রসঙ্গেও জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে জেক সুলিভান বলেন, ‘শুরুতেই আমি বিনয়ের সঙ্গে এমন বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছি যে আমি কোনো “‍ডিপ স্টেটের” নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি আরো বিনয়ের সঙ্গে এ ধারণাটিকেও প্রত্যাখ্যান করছি যে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। এ ধরনের ধারণা অযৌক্তিক। আর ভারতীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এ কথাও বিশ্বাস করি না যে এর পেছনে আমাদের হাত আছে বলে তারা মনে করেন।’

জেক সুলিভান গত সপ্তাহেই ভারত সফর করে গেছেন। তার এ সফরেও বাংলাদেশ পরিস্থিতি আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠে বলে শুক্রবার ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেতি জানিয়েছেন।

কলকাতায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের নতুন প্রতিনিধিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। বাইডেন ও ট্রাম্প উভয় প্রশাসনের কাছেই সংখ‍্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ প্রবলভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে ভোট সম্পন্ন করা এবং সবাইকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সাহায‍্য করতে প্রস্তুত। দিল্লিতে জেক সুলিভানের আলোচনায়ও অনেকটা অংশজুড়ে ছিল বাংলাদেশের কথা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ, সহিষ্ণু বাংলাদেশ চাই। এ বিষয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই স্বার্থ জড়িত। এজন‍্য আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি।’

আরও