চলতি মৌসুমে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ টন। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া সংগ্রহ অভিযান শেষ হবে ৩১ আগস্ট। তবে দাম কিছুটা বাড়ানো হলেও গুদামে ধান ও চাল দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না কৃষক। অভিযান শেষে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও ধান নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৫৬ টন।
কৃষকরা বলছেন, সরকারি খাদ্যগুদামে ধান দিতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাওয়া যায় না। টাকা নিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হয়। এসব ঝামেলার কারণে খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই তাদের।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৩২ টাকা কেজি দরে কৃষকের কাছ থেকে ৭৭২ টন ধান ও ৪৫ টাকা কেজি দরে মিলারদের কাছ থেকে ৪১৪ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ৪১৪ টন সেদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত ৩২০ টন সংগ্রহ হয়েছে। আতপ চাল ৭৯ টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার পুরোটাই সংগ্রহ হয়েছে। তবে ৭৭২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত ৪৫৬ টন সংগ্রহ হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় মিলারদের কাছ থেকে ৪১৪ টন সেদ্ধ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩২০ টন সংগ্রহ হয়েছে। ৭৯ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার পুরোটাই সংগ্রহ হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে ৭৭২ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত ৪৫৬ টন সংগ্রহ হয়েছে। প্রথমদিকে আমরা লটারি করেছি। সেখান থেকে নেয়ার পর পলিসিগতভাবে তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করেছি; যারা কিনা আগ্রহী ছিল। আমরা মোটামুটি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি চলে গেছি। যেহেতু আগস্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে, আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। যেসব মিলার চাল দেবেন না, তাদের জামানতসহ লাইসেন্স বাতিল বা সাময়িকভাবে লাইসেন্স স্থগিত করা হবে।’