সাঁতারের
কিংবদন্তি যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল ফেলসের সঙ্গে তার তুলনা যে নেহায়েত বাড়াবাড়ি নয়, সেটি
আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন লিওঁ মারশাঁ। প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে
সাঁতারের পুল থেকে দু দুটি স্বর্ণ জিতে নিয়েছেন এই ফরাসি তরুণ। এ রাতে জিতেছেন ২০০
মিটার বাটারফ্লাই ও ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকের স্বর্ণ। সব মিলে এটা প্যারিসে তার তৃতীয়
স্বর্ণপদক।
দুটি
ভিন্ন ইভেন্টে, দুটি ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। দুটিতেই শেষ পর্যন্ত উতড়ে গেলেন মারশাঁ। দুটিতেই
নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক গলায় নিয়েছেন আরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা
করা ফরাসি জলমানব।
প্যারিসের
লা ডিফেন্স অ্যারেনার দর্শকরা গলা ফাটাচ্ছিলেন মারশাঁ মারশাঁ ধ্বনিতে। তাদের নিরাশ
করেননি তিনি। ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে তো জিতেই যাচ্ছিলেন রিওতে স্বর্ণজয়ী হাঙ্গেরির
ক্রিস্টোফ মিলাক। যদিও শেষ ৫০ মিটারে অভাবনীয় কামব্যাকে শেষ হাসিটা হেসেছেন মারশাঁ।
তার বিজয়ে প্যারিসের লা ডিফেন্স অ্যারেনায় যেন আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। তিনি সময় নেন
১ মিনিট ৫১.২১ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে মিলাক রৌপ্য (১ মিনিট ৫১.৭৫ সেকেন্ড) ও কানাডার
ইলিয়া খারুন (১ মিনিট ৫২.৮০ সেকেন্ড) ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
ছেলেদের
২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকেও স্বর্ণ জিতে নেন মারশাঁ। তিনি সময় নেন ২ মিনিট ৫.৮৫ সেকেন্ড।
এই ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক স্টাবলেটি-কুক রৌপ্য (২ মিনিট ৬.৭৯ সেকেন্ড) ও নেদারল্যান্ডসের
ক্যাপসার করবিউ (২ মিনিট ৭.৯০ সেকেন্ড) ব্রোঞ্জ জিতেছেন।
জয়
শেষে মারশাঁ বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুব লাজুক মানুষ। এই দুটি রেসে আমি ছিলাম আগ্রহের
কেন্দ্রে। আমি আসলে দর্শকের কাছ থেকে শক্তি সঞ্চয় করছিলাম। তারা অবিশ্বাস্য, প্রতিটি
ফাইনালে তারাই ছিলেন আমার শক্তি।’
ষষ্ঠ ফরাসি হিসেবে একই গেমসে তিনটি স্বর্ণপদক জিতলেন
মারশাঁ। সর্বশেষ এই কীর্তি আছে ১৯৬৮ সালের আসরে জঁ-ক্লদ কিলির।