আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) সুদ আয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ। একই সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফাও বেড়েছে। গতকাল আইপিডিসি ফাইন্যান্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির সুদ আয় হয়েছে ৪২৩ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৭৫ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। প্রথমার্ধে আইপিডিসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৪ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১২ পয়সায়। এছাড়া চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ২১ পয়সা।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের কারণে আলোচ্য সময়ে আইপিডিসির সুদ আয় বেড়েছে। এছাড়া সরকারি ট্রেজারি বিলের সুদহারে ঊর্ধ্বগতির কারণেও বিনিয়োগ থেকে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে। সার্বিকভাবে এসব কারণে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে আইপিডিসির ইপিএস হয়েছে ৯২ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪৩ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৬২ দশমিক ১৪ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৯ পয়সায়।
২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে আইপিডিসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইপিডিসির অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৮৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪৬ হাজার ১২৫। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া সরকারের কাছে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।