বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটে অবস্থান নিতে
চাইলে ৩ শিক্ষার্থী এবং নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে আরো ৩ জন শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক
করে।
এ ৬ শিক্ষার্থীর ৩ জন মতিহার থানায় এবং ৩ জন রাজপাড়া থানায় পুলিশ
হেফাজতে আছেন বলে বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
আসাবুল হক।
প্রক্টর বলেন, যেসব থানায় আমাদের শিক্ষার্থীরা আটক আছেন সেসব থানায়
কথা বলেছি। যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ হয় তাহলে তাদেরকে যেন ছেড়ে দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, আজ বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের
মেইনগেট থেকে ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে জানতে মতিহার থানা এবং রাজপাড়া থানায়
একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা
বলেন, এসব শিক্ষার্থীদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
আটক ৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর মধ্যে দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের
শিক্ষার্থী। একজনের নাম সৈয়দ বাসিতুল ইসলাম এবং অন্যজন মাজেদ হোসেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের
আইন বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের প্রত্যয় সিন্দিদ ও ২০২২-২৩ সেশনের তাওহিদুজ্জামান নাইমকে
বাসা থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া মহিষবাথান কলোনি থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে
নেয়া শিক্ষার্থীর নাম রিফাত সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩
শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, পুলিশ ও ডিবি কর্তৃক রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলন আমাদের সাংবিধানিক
অধিকার। অবিলম্বে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, অহিংস আন্দোলন থেকে এভাবে শিক্ষার্থী আটক ও হেনস্তার বিরুদ্ধে
শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, আজ রাজশাহীর কোর্ট এলাকা থেকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব
প্রফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থীসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।