চলে গেলেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

দেশের সংগীতাঙ্গনে যেন বইছে শোকের হাওয়া। কদিন আগেই চলে গেলেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ।

দেশের সংগীতাঙ্গনে যেন বইছে শোকের হাওয়া। কদিন আগেই চলে গেলেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। তার শোক না যেতেই বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন থেকে চিরতরে বিদায় নিলেন আরেক সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। 

গত এক বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাও চলছিল। শেষ পর্যন্ত ফেরানো গেল না সংগীতশিল্পী জুয়েলকে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান একসময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গণমাধ্যমকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী উপস্থাপক সংগীতা আহমেদ।

জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।

জুয়েলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস ও হাড়েও ক্যানসার সংক্রমণ হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসাসেবা চলছিল। গত অক্টোবর থেকে জুয়েলকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরের মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল চিরবিদায় নিলেন এ শিল্পী। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।

জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশ হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) ও ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। জুয়েল একই সঙ্গে সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আরও