আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই দায়ী: পিসিওএসের সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে এর পেছনে সবসময় ব্যক্তি নিজে দায়ী থাকেন না। বংশগত কারণ, হরমোনজনিত সমস্যাসহ আরো অন্য অনেক কারণ রয়েছে। নারীদের মধ্যে অল্প পরিমাণে পুরুষ হরমোন থাকে। তবে আক্রান্ত নারীর মধ্যে উচ্চ মাত্রার আন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের উপস্থিতি দেখা যায়। ফলে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বিকশিত হয়ে বের হওয়ার পথে বাধার মুখে পড়ে। এ কারণে মাসিকও নিয়মিত হয় না।
ওজন কমানোর মাধ্যমে পিসিওএস প্রতিরোধযোগ্য: পিসিওএস নিরাময় করা যায় না। তবে যারা স্থূলকায় আকারের নারী, তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হরমোনাল ভারসাম্য বজায় থাকে।
পিসিওএস একটি বিরল রোগ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ৫-১০ শতাংশের মধ্যে পিসিওএস রয়েছে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫০ লাখ নারী এ-সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত। এটি নারীদের হরমোনজনিত একটি সাধারণ সমস্যা। পিসিওএস ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুসারে, ৭০ শতাংশ নারী এ সমস্যার কারণে গর্ভধারণে জটিলতার মুখে পড়ছে, যা বর্তমানে নারীদের বেশ প্রভাবিত করছে। এটি কোনো বিরল রোগ নয়।
পিসিএস আক্রান্ত নারীদের সন্তান হয় না: পিসিএস আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণে জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। তবে তারা গর্ভধারণ করতে পারে না, তা পুরোপুরি সত্য নয়। পিসিওএস আক্রান্ত নারীর গর্ভধারণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। অনেকে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে গর্ভধারণ করেন।
শুধু অতিরিক্ত ওজনের নারীদের পিসিওএস প্রভাবিত করে: পিসিওএস যারা আক্রান্ত তাদের বেশির ভাগের ওজন তুলনামূলক বেশি। আক্রান্তদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কারণ স্থূলতা এ-সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পিসিওএস শুধু স্থূলকার নারীদের প্রভাবিত করে এমন কোনো বিষয় সংক্রান্ত গবেষণায় উঠে আসেনি।
সূত্র: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট প্যানমেডিসিন