প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরওয়ের বিদায়ী রাষ্টদূত এসপেন রিকটার সভেনডসেন সাক্ষাৎ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তিনি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরওয়ের বিদায়ী রাষ্টদূত এসপেন রিকটার সভেনডসেন সাক্ষাৎ করেছেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তিনি বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। খবর বাসস।

সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমাজকল্যাণমূলক একটি দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য তাদের সমাজসেবার কারণে বঙ্গবন্ধু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোকে খুবই পছন্দ করতেন এবং তিনি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অনুরূপ সামাজিক সেবা নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 

প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে উভয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন যে সরকার এরই মধ্যে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এবং এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যেকার দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের উল্লেখ করে নরওয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। কারণ, নরওয়ে ছাড়া স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে বাংলাদেশের মিশন রয়েছে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সুবিধাজনক সময়ে নরওয়েতে দূতাবাস খোলার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।

এসপেন রিকটার সভেনডসেন বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি মহামারী পরিস্থিতির মাঝামাঝি সময়ে এখানে এসেছিলেন এবং সরকারের কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার সাফল্য দেখে অভিভূত হয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশে বিদ্যমান ‘বিশ্ব মানের’ জাহাজ ভাঙা শিল্পের উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ পূর্বের অবস্থান থেকে ক্রমান্বয়ে উন্নতি করে জাহাজ ভাঙা শিল্পে এক নম্বর দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ সব বিধি ও পরিবেশগত বিষয় মেনে চলাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা বজায় রাখলে এ শিল্পে তাদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হবে। 

প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহায়তা ও সহানুভূতি অব্যাহত রাখার জন্য নরওয়ের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নরওয়ে ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য দাতাগোষ্ঠীর বৈঠকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। 

তিনি বাংলাদেশের বিপুল উন্নয়ন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও