লক্ষীপুরে আগুনে পুড়ে ছাই ১৫ দোকান

লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীরহাটে আগুনে পুড়ে ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছাই হয়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দোকানগুলোর মালামাল ভষ্মীভূত হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক ও কাপড়ের দোকান রয়েছে।

লক্ষীপুরের মজুচৌধুরীরহাটে আগুনে পুড়ে ১৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছাই হয়ে গেছে। এ সময় আগুনে পুড়ে দোকানগুলোর মালামাল ভষ্মীভূত হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে হার্ডওয়্যার, প্লাস্টিক ও কাপড়ের দোকান রয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভোররাতে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে লক্ষীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের সূত্রপাত খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের সময়ক্ষেপণকে দায়ী করেছেন দুজন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান স্বপন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের পরপরই বাজারের দক্ষিণ পাশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সময়মতো আসেনি বলে তারা দাবি করছেন। এরই মধ্যে আগুন আরো বেশি ছড়িয়ে পড়লে, পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে, আগুনে পুড়ে ১৫টি দোকান একেবারে ছাই হয়ে যায়।

চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমান স্বপন এবং স্থানীয় দুই ব্যবসায়ী জানান, কল দেয়ার এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসেছে। অথচ ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের অফিসের দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত। তাদের সময়ক্ষেপণের কারণেই ১৫টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরো আগে এলে ক্ষয়ক্ষতি আরো কম হতো।

এ বিষয়ে লক্ষীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এর মধ্যেই আগুন বেশ ছড়িয়ে পড়ে। কাপড়ের দোকান বেশি হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখার মাত্রা বেশি ছিল। আমাদের ৩টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লক্ষীপুর-২ রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান।

এ সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ সহায়তার আশ্বাস দেন সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

আরও