গাজায় আড়াই লাখ মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে চলমান তীব্র অভিযানের মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরের সব বাসিন্দাকে মধ্য গাজা উপত্যকায় সরে যেতে বলেছে। বিমান থেকে লিফলেট ফেলে এ নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে চলমান তীব্র অভিযানের মধ্যে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরের সব বাসিন্দাকে মধ্য গাজা উপত্যকায় সরে যেতে বলেছে। বিমান থেকে লিফলেট ফেলে এ নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল।

বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

এসব লিফলেটে গাজাকে বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চ হিসেবে বর্ণনা করে গাজা শহরের সবাইকে নির্দিষ্ট নিরাপদ রুটের মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী দুটি রাস্তার নামও উল্লেখ করেছে যা দেইর আল-বালাহ এবং আল-জাওয়াইদাতে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে গেছে। 

জাতিসংঘ বলেছে, ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো গাজা শহরকে সম্পূর্ণভাবে খালি করতে নির্দেশ দিল ইসরায়েল।

গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী কয়েকটি জেলায় পুনরায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিশ্বাস হামাস এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা চলতি বছরের শুরু থেকে সেখানে পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। 

হামাস বলেছে, গাজা শহরে ইসরায়েলের নতুন এসব কার্যকলাপ সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তি চুক্তিআলোচনার জন্য হুমকিস্বরূপ। 

উল্লেখ্য, বুধবার কাতারে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। আলোচনায় মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধানের পাশাপাশি কাতারের প্রধানমন্ত্রীও অংশ নিয়েছেন। 

হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা হোসাম বাদরান বলেন, বোমা হামলা, বাস্তুচ্যুতি এবং গণহত্যা জোরদার করার মাধ্যমে আলোচনায় চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। 

এদিকে বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি নির্দেশনার পর কিছু লোককে দক্ষিণে সরে যেতে দেখা গেলেও গাজা শহরে এখনো এক-চতুর্থাংশেরও বেশি লোক বসবাস করছে বলে অনুমান করা হয়েছে। আবার অনেকেই শহর ছাড়তে রাজি নয়।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান এ হামলায় আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে

আরও