মানুষের দুর্ভোগ হয়, এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছেন। আমরাও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব—মানুষের দুর্ভোগ হয়, এমন কর্মসূচি পরিহার করে শ্রেণীকক্ষে ফিরে যেতে।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে আন্দোলন করছে, আমরা তো সেই কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াইনি। তবে এক্ষেত্রে আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আশা করি আদালত বাস্তবসম্মত রায় দেবেন।’
সরকারি চাকরির কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গতকাল চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ৭ আগস্ট এ নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সর্বোচ্চ আদালত। শুনেছি আগস্টে চূড়ান্ত শুনানিতে শিক্ষার্থীদের দাবি সুবিবেচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। আদালত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছেন। তারা আদালতের নির্দেশ মেনে শ্রেণীকক্ষে ফিরে গেল কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে দেখব। ফিরে না গেলে কী করা হবে, তা এখনই বলা সমীচীন হবে না।’”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। সম্প্রতি হাইকোর্ট এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করলে নতুন করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।