দুয়ারে দাঁড়িয়েছে বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা। সিনেবোদ্ধাদের মনোযোগ এখন ‘গ্ল্যাডিয়েটর টু’কে ঘিরে। এরই মধ্যে সিনেমাটির ট্রেইলার মুক্তি পেয়েছে নেট দুনিয়ায়। জানানো হয়েছে আগামী নভেম্বরে মুক্তির কথা।
২০০০ সালে মুক্তি পায় পরিচালক রিডলি স্কটের ‘গ্ল্যাডিয়েটর’। ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার ঝুলিতে তুলে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমায় পরিণত হয়। এখানেই থেমে থাকেনি জয়যাত্রা। সমালোচকরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সিনেমার অভিনয়, পরিচালনা, সিনেমাটোগ্রাফি, প্রডাকশন ও মিউজিক্যাল স্কোরকে। সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা অভিনেতার মতো পাঁচটি বিভাগে জিতেছে অস্কার। প্রায় দুই যুগ পরে আসা গ্ল্যাডিয়েটরের দ্বিতীয় কিস্তি আসছে। তবে এবার রাসেল ক্রো নয়, দেখা যাবে পল মেসক্যালকে।
সিনেমায় মেসক্যালকে দেখা যাবে লুসিয়াস চরিত্রে। গল্পে লুসিয়াস চরিত্র পূর্ববর্তী যোদ্ধা লুসিয়াস ভেরাসের পুত্র। আগের কিস্তিতে লুসিয়াস ভেরাসকে দেখা গেছে ম্যাক্সিমাসের সঙ্গে। এ কিস্তিতে পুত্র লুসিয়াস শপথ নেন ক্যারাকালা ও গেটাকে পরাজিত করার। শপথের পথেই তাকে মুখোমুখি হতে হয় ম্যাক্রিনাসের সঙ্গে। মোকাবেলা করতে হয় পেদ্রো প্যাসকেলের রোমান জেনারেল মার্কাস আকাকিয়াসের সঙ্গেও। ট্রেইলারে অধিকাংশ চরিত্রকে হাজির দেখা যায় স্বতন্ত্র আবহে। এর মধ্যে অভিনেতা প্যাসকেল তার চরিত্রকে বর্ণনা করেছেন জেনারেল হিসেবে। জেনারেল একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি। ম্যাক্সিমাসের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। রোমান সম্রাটের উত্তর আফ্রিকা অভিযানের সূত্র ধরে জটিল হয়ে উঠে সমীকরণ। এদিকে নিজের চরিত্রের জন্য মেসক্যাল এর মধ্যেই ‘ব্রিট ওয়াল পল’ তকমা পেয়েছেন। প্যাসকেল তার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘তার বিরুদ্ধে আরেকবার লড়াই করার চেয়ে আমি বরং উঁচু ভবন থেকে লাফ দেয়াকেই অগ্রাধিকার দেব।’
ট্রেইলারে অল্প সময়ের জন্য টিম ম্যাকিনার্নি ও ডেরেক জ্যাকোবিও দেখা যায়। আর দেখা যায় তরবারি, ধনুক, জাহাজ, ভিড়, পানি ও রক্তপাত। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে যুদ্ধের পরিবেশ। অভিনেতাদের চলাফেরা থেকে শুরু করে সিনেমাটোগ্রাফি পর্যন্ত, যেন দর্শককে নিয়ে যায় রোমান যুগে। পরিচালক রিডলি স্কট যে মিউজিকের জন্য সময় নিয়ে কাজ করেছেন, তা ট্রেইলারের মধ্যেই স্পষ্ট হয়। আগের কিস্তির মতো এবারো সংগীতের দায়িত্ব দিয়েছিলেন হ্যান্স জিমারের কাঁধে। সামান্য সময়ের জন্য হলেও পাওয়া যায় কানিয়ে ওয়েস্ট ও জয় জির লিরিক।
গ্লাডিয়েটর টু সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে হলিউডের অভিনেতারা আন্দোলনে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হয় শুটিং। এ বছরের জানুয়ারির দিকে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা আসা পর্যন্ত ছোটখাটো শট নিয়ে রাখা হয়েছিল। সিনেমাটি যুক্তরাজ্যে মুক্তি আগামী পাবে ১৫ অক্টোবর। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আসবে তার এক সপ্তাহ পর। কাছাকাছি সময়েই মুক্তি পাবে অ্যানিমেশন সিনেমা ‘মোয়ানা টু’ ও ‘উইকেড’। দুটি সিনেমার সঙ্গে যেন বক্স অফিসে সংঘাত না হয়, সেদিক বিবেচনায় রেখেই মুক্তির দিন নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। তার পরও কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে সংঘাতের সম্ভাবনা দেখছেন।
সূত্র: গার্ডিয়ান