চীন সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। গতকাল বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
চারদিনের সফরে সোমবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেই হিসাবে আগামীকাল সকালে তার দেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সফর সংক্ষিপ্ত করে আজ রাতেই রওনা হবেন সরকারপ্রধান।
সফর সংক্ষিপ্ত করার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সব অনুষ্ঠান অপরিবর্তিত রয়েছে। শুধু ১১ জুলাই (আগামীকাল) সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই (আজ) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সফর সংক্ষিপ্ত করা হলেও নির্ধারিত সব কর্মসূচি শেষ করেই সরকারপ্রধান দেশে ফিরবেন। প্রেস সচিব বলেন, ‘১০ জুলাই বেইজিংয়ের সময় রাত ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইটে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী; দেশে পৌঁছাবেন বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।’
এদিকে গতকাল বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং। এ বৈঠকের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যানের বৈঠক হয়েছে। এতে উভয় নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন। তারা দলীয় নেতাদের পারস্পরিক সফরের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছান।’ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে চীন সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন। এ ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এআইআইবিকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনন, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এআইআইবি প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে অভূতপূর্ব বলে বর্ণনা করেন।’
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের ১৪০টির বেশি দেশে আমাদের ওষুধ রফতানি হয়। আমরা চীনেও এর প্রসার চাই। পাশাপাশি পাট ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, আম প্রভৃতি রফতানির মাধ্যমে আমরা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছি।’