মন্টিনিগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘হইতে সুরমা’

বাংলাদেশের সিনেমা ‘‌হইতে সুরমা’। এর পরিচালক অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক।

বাংলাদেশের সিনেমা ‘‌হইতে সুরমা’। এর পরিচালক অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। সিনেমাটি ইউরোপের গ্রিন মন্টিনিগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। সেখানে এ সিনেমা প্রদর্শিত হবে। এছাড়া এটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক আরেকটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও চান্স পেয়েছে। গত এপ্রিলে রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে এ সিনেমার প্রিমিয়ার হয়। 

সিনেমাটির পরিচালক মনোজ প্রামাণিক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘একটি বাংলাদেশী সিনেমা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হওয়া নিশ্চয়ই আমাদের দেশের সিনেমার জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। এটি আমার জন্যও বড় বিষয়। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’

আট দিনব্যাপী মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। গত ২৬ এপ্রিল ছিল সমাপনী আয়োজন। এ আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন সিনেমাটির পরিচালক মনোজ প্রামাণিক।

সিনেমাটি নির্মাণের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষকতা করি, পাশাপাশি অভিনয় ও প্রযোজনা করে থাকি। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা, যেখানে সবসময় পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হয়। শিক্ষার জায়গা থেকে আমি একটি ফিল্ম ল্যাব করি। যেখানে ফিল্মের যেকোনো বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। যেখানে বিশ্বের সিনেমা বিশেষজ্ঞরা থাকেন এবং তাদের নির্দেশনায় কখনো কখনো কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এ ল্যাবের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখি। এরপর সেটাতে চিত্রনাট্য ও কো-প্রডিউসারের কাজ করি।’

মনোজ জানান, সিনেমাটি আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কো-অপারেশনে পোস্ট প্রডাকশন শেষ হয়। গত এপ্রিলেই সিনেমা নির্মাণ শেষ হয় এবং তখন একে বিভিন্ন চলচ্চিত্র ফেস্টিভ্যালে পাঠান। তারপর ‘‌হইতে সুরমা’ সিনেমাটি নিয়ে রাশিয়ার ৪৬ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ তারা অংশ নেন। ননকম্পিটিশন বিভাগে চলচ্চিত্রটি অফিশিয়ালি সিলেক্ট হয়েছিল।

সে সময় মনোজ নিজেই মস্কোয় গিয়েছিলেন। তবে এবার তিনি উচ্ছ্বসিত নতুন ফেস্টিভ্যাল নিয়ে। গ্রিন মন্টিনিগ্রো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও সিনেমাটি দর্শককে মুগ্ধ করবে বলে তিনি মনে করেন। এখান থেকে মনোজ ও তার সিনেমার নতুন যাত্রা হতে পারে।

আরও