পাবলিক কোম্পানিগুলোর সংস্কারে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে তহবিল পেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অতিরিক্ত ৪ হাজার ৩০০ কোটি রুপি ঋণসহ দেশটির পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজগুলোর (পিএসই) ক্রমবর্ধমান ঋণ ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। সূত্র ডন।
পাবলিক কোম্পানিগুলোর বেসরকারীকরণ ও বাজেটের ওপর বোঝা কমানো এখন পাকিস্তানের প্রধান অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। ঋণপ্রাপ্তির পূর্বশর্ত হিসেবে এমনটাই জানিয়েছিল আইএমএফ।
দেশটির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিএসইর জন্য বরাদ্দ করেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ কোটি রুপি, যা বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ১০৪ শতাংশ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আসবে ভর্তুকি ও অনুদানের মাধ্যমে।
২ জুলাই প্রকাশিত পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে পিএসইর ঋণ ছিল ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭০০ কোটি রুপি। তবে পরের অর্থবছরে ঋণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি রুপিতে।
পাকিস্তানের অর্থনীতিবিষয়ক বিভাগ এবং এডিবি ২০১৬ সালের ২৮ জুন পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ রিফর্ম প্রোগ্রামের (পিএসইআরপি) জন্য ৩০ কোটি ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার পিএসই সংস্কার করতে ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তান সরকারের পিএসই সংস্কার এজেন্ডাকে সমর্থন করার জন্য এডিবি ২০১৬ সালের জুনে পিএসইআরপির জন্য একটি কর্মসূচিভিত্তিক পদ্ধতি অনুমোদন করেছিল। সে সময় এডিবি এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ২০১৭ সালের জুনে সাবপ্রোগ্রাম-১ এর জন্য ৩০ কোটি ডলার এবং সাবপ্রোগ্রাম-২ এর জন্য আরো ৩০ কোটি ডলারের ঋণ দিয়ে শুরু হয়েছিল এ প্রচেষ্টা। প্রথম কর্মসূচির অধীনে শুরু হওয়া সংস্কারগুলো অব্যাহত রাখা এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই নেয়া হয়েছিল দ্বিতীয় কর্মসূচি।
এডিবির কর্মসূচির লক্ষ্য ছিল পিএসইর করপোরেট ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহি উন্নত করা এবং জনসম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নতির মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আর্থিক সংস্থানের বিধান সহজতর করা।
তবে প্রচুর পরিমাণে চাকরি দেয়া ও লোকসান করা সরকারি কোম্পানিগুলোর বেসরকারীকরণ এখনো রাজনৈতিক প্রশ্ন হিসেবেই রয়ে গেছে। যে অর্থনীতিতে চাকরি প্রদানের সুযোগ খুবই সীমিত সেখানে অর্থনীতির চেয়ে রাজনৈতিক প্রশ্নই বড় হয়ে ওঠে। এর মধ্যে রেলওয়ে, পাকিস্তান স্টিল, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের মতো পিএসইগুলোর সংস্কারে দেশটির সরকারগুলো ব্যর্থ হয়েছে।