স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।’
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ‘আরবান রেজিলেন্স ফোরাম’ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টেকসই নগর নীতি বাস্তবায়ন এবং টেকসই শহর ও কমিউনিটি গঠনের লক্ষ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ, যুক্তরাজ্য সরকার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শহরের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের (এলআইইউপিসিপি) অংশ হিসেবে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে বক্তারা দ্রুত নগরায়ণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই নগর উন্নয়নের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে-শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেয়া হবে। বর্তমান সরকার “আমার গ্রাম, আমার শহর” বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার লোকের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।’
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘সাশ্রয়ী আবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতি মোকাবেলার গুরুত্ব অপরিসীম। এ লক্ষ্য অর্জনে তৃণমূল থেকে ওপর মহল পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি শক্তিশালী জাতীয় নগর নীতি পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। ইউএনডিপি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’