টেলিযোগাযোগ বিভাগের চার প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে: পলক

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ও ডাক অধিদপ্তরকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিযোগাযোগ কোম্পানি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ও ডাক অধিদপ্তরকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে কীভাবে, কত অংশীদারত্বের ভিত্তিতে এবং কোন পদ্ধতিতে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে তা নির্ধারণ করা হবে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের উদ্যোগে ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইথ হার’ প্রতিপাদ্যে ‘উইমেন ইন টেক’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজনের কৌশলগত সহযোগী ছিল ইউনেস্কো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী আকর্ষণ বোধ করে, তখন আমরা চেষ্টা করব এ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পূর্ণ কিংবা আংশিক বিনিয়োগে আমরা আগ্রহী হতে পারি। অপারেশনাল বা ম্যানেজমেন্ট পর্যায়েও যদি অংশীদারত্বের প্রস্তাব আসে আমরা সে বিষয়ে চেষ্টা করব। এর মাধ্যমে আমরা হয়তো বিটিসিএল, টেলিটক এবং টেশিসকে আর্থিক লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। একইভাবে ডাক অধিদপ্তরের সম্পদকে বেসরকারি খাত ও নাগরিকদের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা লাভজনক করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, আমরা বিটিআরসিকে আধুনিক, শক্তিশালী এবং ব্যবসাবান্ধব করতে চাচ্ছি। যার কারণে আমরা টেলিকম আইন করতে যাচ্ছি। আমাদের কোম্পানিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপটাই ভালো হবে। সেক্ষেত্রে কোন ধরনের পার্টনারশিপে যাব জুনের শেষে তাদের প্রতিবেদন দেখে প্রধানমন্ত্রী এবং আইসিটি উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জারা জাবীন মাহবুব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর অফিস প্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুজান ভাইজ, আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং।

আরও