দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিস বা গলবিলের শ্লেষ্মা ঝিল্লির প্রদাহ সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত ফ্যারিনজাইটিস চিকিৎসা করা না হলে তা বেড়ে যায়।
দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিস ধূমপান, ধুলো, অ্যালকোহল, রাসায়নিক দ্রব্য, গরম বাষ্প বা তরল প্রবেশের কারণে হয়। দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যালার্জি, গলায় ফরেন বডির উপস্থিতি। এছাড়া শিশুদের মধ্যে চিকিৎসাবিহীন ক্যারিস, দীর্ঘস্থায়ী টনসিলাইটিস বা অ্যাডিনয়েডের কারণে হতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের লক্ষণগুলো হলো ব্যথা, জ্বালাপোড়া। তাদের ক্রমাগত শুষ্ক কাশি থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—
জ্বর
সাধারণ দুর্বলতা
মাথা ব্যথা
পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে উপরোক্ত লক্ষণগুলোর ওপর।
ধুলো, তামাকের ধোঁয়া, রাসায়নিক কোনো দ্রব্যের কারণে দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিস হতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষতিকারক কারণগুলো নিরাময় করা, ধূমপান বন্ধ করা, চাকরি পরিবর্তন করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের জটিলতা
দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিসের জটিলতা বিরল। দীর্ঘস্থায়ী ফ্যারিনজাইটিস কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং কোনটি তা বোঝার জন্য এটি কী কারণে হয় তা জানা দরকার। এগুলো হতে পারে: সংক্রমণ (দাঁতের দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে, মুখের গহ্বর, গলবিল, অনুনাসিক গহ্বর এবং প্যারানাসাল সাইনাস), শ্বাসের সঙ্গে ধুলো যাওয়া, অতিরিক্ত গরম এবং ঠাণ্ডা খাবার বা পানীয়, ঠাণ্ডা বাতাস, ধূমপান বা তামাক গ্রহণ।
সংক্রামক ফ্যারিনজাইটিসের কারণে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। গলায় সংক্রমণের যথাযথ চিকিৎসা না হলে জটিলতা দেখা দেয়। ল্যারিনজাইটিস, ওটিটিস মিডিয়া ও ফ্যারিনজিয়াল ফোঁড়ার মতো জটিলতাগুলো সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও ক্ষতি করতে পারে। যেমন কিডনি, হার্ট, জয়েন্ট, থাইরয়েড গ্রন্থি ও স্নায়ুতন্ত্র।