বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) কর্তৃক ই-জিপি’তে সংযোজিত দরদাতা ডাটাবেইজ সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে সহায়ক হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিপিপিএ’এর সম্মেলন কক্ষে বিপিপিএ’এর প্রতিষ্ঠা ও টেকসই সরকারি ক্রয় বিষয়ে সাংবাদিকদের জন্য এক কর্মশালায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী এ কথা বলেন।
বিপিপিএ আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্টস্ ফোরামের ৪০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিপিপিএ’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে। বিপিপিএ’র পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মাহফুজার রহমান অনুষ্ঠানে বিপিপিএ’র প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই সরকারি ক্রয় বিষয়ে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা পেশ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ছিল আইএমইডির একটি ছোট ইউনিট। ক্রমবর্ধমান কারিগরি চ্যালেঞ্জ আর সরকারি ক্রয়ের চাহিদা বিবেচনায় এত কম জনবল নিয়ে সিপিটিইউয়ের পক্ষে সারাদেশের ক্রয় ব্যবস্থাপনার আইনগত বিষয় মোকাবেলা করা সম্ভব ছিল না। এখন প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে বিপিপিএ সরকারি ক্রয় ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সক্ষম হবে।
আইএমইডি সচিব জানান, সারাদেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিন ও কার্যকরভাবে তদারকির জন্য সরকার আইএমইডিকে সম্প্রসারণ করে শিগগিরই আইএমইডি’র অধীনে অধিদপ্তর গঠন করবে।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দরপত্র যারা পাচ্ছে তা কতটা স্বচ্ছ আর ই-জিপি কীভাবে তা নিশ্চিত করবে? একটি প্রতিষ্ঠান ১৯টি কাজ পেয়েছে আবার পাঁচটা প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথের বেশিরভাগ কাজ কীভাবে পাচ্ছে?
উত্তরে বিপিপিএ’র সিইও জানান, সরকারি ক্রয় বিধি অনুযায়ী ক্রয়কারী সেটি নিশ্চিত করবে। অনিয়মের অভিযোগে বর্তমানে অনেক দরদাতাকে রহিত করা হয়েছে। আরও অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইএমইডি সচিব এ বিষয়ে বলেন, বিপিপিএ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারির পর থেকে ক্রয়কারীরা এখন বেশি সোচ্চার হয়েছে। ক্রমে এই অবস্থার উন্নতি হবে বলে তিনি আশা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দোষ প্রমাণ হওয়ায় ক্রয়কারি কর্মকর্তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বিপিপিএ’র সিইও বলেন, দরপত্র ডাটাবেইজে প্রত্যেক ঠিকাদারের কাজের এবং প্রাপ্ত বিল সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তাই ক্রয়কারী দরদাতা সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে। ফলে কোন ঠিকাদারের পক্ষে কোনো তথ্য লুকানো সম্ভব নয়। এতে সরকারি ক্রয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
বিপিপিএ’র ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করছে দোহাটেক নিউ মিডিয়া। বেক্সিমকো আইটি ও জিএসএস ইনফোটেক নিয়ে একটি যৌথ মালিকানা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের লিড হিসেবে দোহাটেক সেবা দিচ্ছে। ২০২২ এ ই-জিপিতে দরদাতা ডাটাবেইজ যুক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ এর ১৮ সেপ্টেম্বর পূর্বতন সিপিটিইউকে সরকার বিপিপিএ’তে রূপান্তর করেছে।