ঈদের আগ মুহূর্তে সংস্কার

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানজটে ভোগান্তির শঙ্কা

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মানিকগঞ্জ অংশে রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। ঈদে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঈদের আগ মুহূর্তে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে সড়ক উন্নয়নকাজ। পাশাপাশি করা হচ্ছে সংস্কার ও সেতু মেরামত। ওইসব এলাকায়

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে মানিকগঞ্জ অংশে রয়েছে ৩২ কিলোমিটার। ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করে। ঈদে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঈদের আগ মুহূর্তে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে সড়ক উন্নয়নকাজ। পাশাপাশি করা হচ্ছে সংস্কার ও সেতু মেরামত। ওইসব এলাকায় যানবাহনগুলোকে এক লেন দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও যানবাহনচালকরা।

ঈদের আগে এসব কাজ শেষ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করছেন না সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বলছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে যাতায়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

যাত্রীরা জানান, সারা বছর সংস্কারকাজ না করে ঈদের সময় এসব কাজ করা হয়। এতে ভোগান্তি বাড়ে। ঈদের বাকি নয়দিন। আর কয়েকদিনের মধ্যেই যানবাহনের চাপ বাড়বে। সড়ক সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ না হলে ভোগান্তির শিকার হতে হবে ঘরমুখো মানুষকে।

সড়ক সংস্কার কাজের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মানিকগঞ্জের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ অংশের ৩২ কিলোমিটারে ছয়টি স্থানে চলছে সংস্কারকাজ। এছাড়া নতুন দুটি সেতুর কাজও শেষ হয়নি। ঈদের আগে সংস্কার শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ করা হচ্ছে।’

ঈদযাত্রায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও ফেরিঘাটে মানুষের নিরাপত্তা জোরদার ও যানজট নিরসনে ১ হাজার ২০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান। আট শতাধিক পোশাকধারী ও বাকিরা সাদা পোশাকে নিয়োজিত থাকবে। যানজট নিরসন, অতিরিক্ত বাস ভাড়া রোধ, যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ ও ফেরিঘাট দিয়ে নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সহায়তা করবে পুলিশ। মহাসড়কের নয়াডিঙ্গি, বানিয়াজুরী, বরংগাইল, টেপরা, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, আরিচা ফেরিঘাটসহ নয়টি স্থানে কাজ করবেন বাহিনীর সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, পরিবহন মানিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। ঈদের সপ্তাহখানেক আগেই সড়কের কাজ শেষ করতে সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

আরও