চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের
বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে শ্রীলংকা। পাহাড়সম এই রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ৩১
রান তুলে আজ চতুর্থ দিন মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। মাহমুদুল হাসান জয়
১৯ ও জাকির হাসান ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। যদিও দ্বিতীয় সেশনে দুজন দ্রুতই আউট হয়ে যান।
পরে মুমিনুল হকের ফিফটিতে ভর করে এই সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান যোগ করে বাংলাদেশ।
৪ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। সাকিব আল হাসান ১৪ ও লিটন দাস শূন্য
রানে অপরাজিত রয়েছেন।
টার্গেট থেকে এখনো ৩৭৯ রান দূরে বাংলাদেশ, আর শ্রীলংকাকে
নিতে হবে বাংলাদেশের বাকি ৬ উইকেট।
এর আগে ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নামা লংকানরা
৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। এতে রেকর্ড রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জের
মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড
রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট এর চেয়েও অনেক অনেক বেশি। কাজেই চট্টগ্রামে
বাংলাদেশকে জিততে হলে নতুন ইতিহাস গড়তে হবে।
আজ সকালে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজকে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বোল্ড
করেন সাকিব আল হাসান। প্রবথ জয়সুরিয়া ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ
চারটি ও খালেদ আহমেদ দুটি উইকেট নেন।
শ্রীলংকা প্রথম ইনিংসে ছয় ফিফটিতে ৫৩১ রানে অলআউট হয়।
জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর ১৫৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে অতিথিরা। তাতে
৫১১ রানের বিশাল টার্গেটের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, সিলেট টেস্টেও ঠিক ৫১১ রানের
টার্গেট পেয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ওই টেস্টে ১৮২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৩২৮ রানের
বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে
১-০তে এগিয়ে রয়েছে শ্রীলংকা। চট্টগ্রাম টেস্টে ন্যূনতম ড্র করলেই সিরিজ নিশ্চিত করবে
ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল।
টেস্টে রান তাড়ার রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধরে রেখেছে।
২০০৩ সালে সেন্ট জোনসে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪১৮ রানের টার্গেট ৭ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছিল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরি করেছিলেন রামনরেশ সারওয়ান ও শিবনারায়ন চন্দরপল। ব্রায়ান লারার
ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান।