সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার

পৌনে ৩ শতাংশ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক কমেছে পৌনে ৩ শতাংশের বেশি। এ সময় ডিএসইর লেনদেনও কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমলেও শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক কমেছে পৌনে ৩ শতাংশের বেশি। এ সময় ডিএসইর লেনদেনও কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমলেও শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ২ হাজার ১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ২ হাজার ৫৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৪১১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬৫টির, কমেছে ৩৪৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৮টির।

গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে রেনাটা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি, বীকন ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা ও ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। 

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক্সচেঞ্জটিতে সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ৪৯৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৯৬ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ২২৯ কোটি টাকা, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক ৪ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে প্রকৌশল খাত। ১১ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল খাদ্য খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। 

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে কোনো খাতের ইতিবাচক রিটার্ন হয়নি। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল প্রকৌশল, চামড়া, ভ্রমণ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ বীমা খাত। এসব খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ৮, ৫ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ১ ও ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। 

অন্যদিকে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৫৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ৯৩৭ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১০ হাজার ১৬৯ পয়েন্ট। 

সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ৯৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কোটি টাকা। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৮টির, কমেছে ২৪৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।

আরও