চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ
চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ সোমবার ওয়ানডে সিরিজে শিরোপা মীমাংসার ম্যাচে জেনিথ লিয়ানাগের
সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভার ব্যাট করে ২৩৫ রান করে অলআউট হয় শ্রীলংকা। এরপর লাহিরু কুমারার
বোলিংয়ের মুখে হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ মুহূর্তে রিশাদ হোসেনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে
৪ উইকেট ও ৫৮ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
২৩৬ রানের টার্গেটে নেমে
১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন চরম অনিশ্চয়তায়, তখন ব্যাটে রীতিমতো ম্যাজিক
দেখালেন তরুণ রিশাদ হোসেন। সিলেটে তৃতীয় টি২০তে ৩০ বলে ৭ ছক্কায় ৫৩ রান করা এই ক্রিকেটার
আজ লংকানদের বিপক্ষে ১৮ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে
সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসান।
হাসারাঙ্গা ডি সিলভার
করা ৪০তম ওভার ওভার থেকেই তিনি তুলে নেন ২৪ রান। ফলে ৬৬ বলে ২৭ রানের সমীকরণটা নেমে
আসে ৬০ বলে ৩! থিকসানার করা ৪১তম ওভারে মুশফিকুর রহিমের বাউন্ডারিতে জয় নিশ্চিত হয়
বাংলাদেশের। এর আগে সৌম্য সরকারের জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে খেলা তানজিদ হাসান তামিম
৮১ বলে ৮৪ রান করে বাংলাদেশের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন। কনকাশন সাব হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ
রানের রেকর্ড। আগের সর্বোচ্চ ৮০ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান মার্নুস লাবুশেন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে
রিশাদ বলেন, ‘ম্যাচটি শেষ করতে পেরে ও জয় পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। শুরুতে আমি কিছুটা
নার্ভাস ছিলাম, তবে পরে বলের সঙ্গে ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে পারছিলাম বেশ ভালোভাবেই। মুশফিক
আমাকে বলেছেন, আমার জোনের মধ্যে হলে আমি যেন বেশ জোরে বল মারি। সকল কৃতজ্ঞতা আল্লাহর
প্রতি।’
বাংলাদেশ দলনায়ক নাজমুল
হোসেন শান্ত এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার কাজটি তানজিদ, মুশফিক ও রিশাদ করে
দেয় বুকের ওপর থেকে যেন পাথরটা নেমে গেছে তার। ট্রফি হাতে নিয়ে স্বস্তির হাসিতে তিনি
বললেন, ‘সর্বশক্তিমানের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। তামিম যেভাবে ইনিংসটা শুরু করেছে তাতে
তাকে নিয়ে আমি অনেক খুশি। তবে সে ইনিংসটা শেষ করতে পারলে ভালো লাগতো। আর মুশির (মুশফিক)
ব্যাটিং রিশাদের ইনিংসকে সাহায্য করেছে। আমি বোলিং নিয়েও অনেক অনেক খুশি।’
সিরিজ জয় নিয়ে তিনি বলেন,
‘এই জয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসছে। আমরা এরই
মধ্যে শ্রীলংকার বিপক্ষে একটি ম্যাচ জিতেছি। কাজেই এই সিরিজটা আমাদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।’