রমজানের আগে বাংলাদেশে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং ১০ হাজার টন চিনি রফতানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। তবে এটাকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং চিনি ১ লাখ টন করার জন্য দিল্লিকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি সফর শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ভারতের নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী
প্রশংসা করেছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন,
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানব উন্নয়নের
সকল সূচকে আমাদের যেমন অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। এর পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে
আজ আমরা বিশ্বে পঞ্চম ও এশিয়া-ওশানিয়া অঞ্চলে দ্বিতীয়। ভারতের নেতারা যেমন এ অগ্রগতির
প্রশংসা করেছেন তেমনি একসঙ্গে কাজের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
ড. হাছান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার
সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের
বদলে 'নন-লেথাল ওয়েপন' ব্যবহার, মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষত ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি নবায়ন,
তিস্তার পানিবন্টন, মানুষে যোগাযোগ, বাণিজ্য বৃদ্ধি, মিয়ানমার এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ
নানা সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে
সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
জানিয়েছি। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য ও
শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকে রমজানের আগে ভারতকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং
১ লাখ মেট্রিক টন চিনি রফতানি করতে অনুরোধ করেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী সেটা ভালোভাবে
নিয়েছেন। এর আগে তারা ২০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং ১০ হাজার টন চিনি রফতানির প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিল।
মিয়ানমার থেকে তাদের সেনাদের ফিরিয়ে নিতে জাহাজ আসার বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাজটি কখন ভিড়বে সেটি টেকনিক্যাল পার্ট। আমরা সম্মত তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এটা খুব সহসা হবে।